এহসানুল হোসেন তাইফুর, বিশেষ প্রতিনিধি: হরিহর নদের উপচে পড়া পানিতে ধীরে ধীরে কেশবপুর শহর তলিয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হলেও
প্রতিনিয়ত বাড়ছে পানি। শহরের কাঁচা বাজার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মাইকেল
মধুসূদন সড়কে বসানো হয়েছে বাজার। কাঁচা বাজারের আড়তসহ মাছ ও চারানি
বাজারে জলাবদ্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে। আপদকালীন নদনদী খননের লক্ষ্যে
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক
প্রকৌশলী সরেজমিন কেশবপুর আসবেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি টানা বৃষ্টির পাশাপাশি হরিহর ও বুড়িভ্রদ্রা নদীর উপচে পড়া পানিতে কেশবপুর
পৌরসভাসহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৩০ পরিবারের ৪০ হাজার মানুষ
পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। শুক্রবার দৈনিক যশোর পত্রিকাসহ অন্যান্য পত্রিকায় পানিবন্দী
মানুষের সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্তৃপক্ষ
নদনদী সংলগ্ন বিভিন্ন জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন করেন।
কাঁচা বাজার আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মশিয়ার রহমান বলেন, বাজারটি
পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় ব্যবসায়ীদের পড়তে হয়েছে বিপাকে। বাধ্য হয়েই মাইকেল
মোড়ের উঁচু সড়কে বাজার বসাতে হয়েছে।
২৭ বিল বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক বাবর আলী গোলদার বলেন, কেশবপুরে
অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা মাছের ঘেরে ভূগর্ভস্থ থেকে পানি তুলে ঘের ভর্তি করা হয়েছে।
এ ছাড়া নদ-নদী পলিতে ভরাট হওয়ায় টানা বৃষ্টির ফলে পানি নিষ্কাশনে বাধা পেয়ে এলাকা
জলাবদ্ধ হয়েছে। তিনি দ্রুত নদ-নদী থেকে পলি অপসারণ করে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি
জানিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুমন সিকদার বলেন, শুক্রবার পানিবন্দী
বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) পানি উন্নয়ন বোর্ডের
যশোর সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবিবুর রহমান কেশবপুরের আপার ভদ্রা, হরিহর
নদ ও বুড়িভদ্রা নদী এলাকা পরিদর্শন করবেন। সরেজমিন পরিদর্শনকালে জরুরি ভিত্তিতে
কেশবপুরের জলাবদ্ধতা নিরসনে আপদকালীন তিনটি নদ-নদীতে কাজ শুরু হতে পারে।