ঝিকরগাছায় কৃষি উদ্যোক্তার ৮০ লক্ষ টাকা ক্ষতি নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

0
16

যশোর অফিস : যশোরের ঝিকরগাছার কৃষিচাষী মোহাইমেনুল হক মিন্টুর ওপর ধারাবাহিক আক্রমণ ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় এলাকাজুড়ে খুব ও প্রতিবাদমুখর হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী।তার মাছের চাষের ঘের পেঁপে বাগান ও খামার ধ্বংসের পেছনে রয়েছে অজ্ঞাতনামা একাধিক চক্র। তার আর্থিক ক্ষতি সাধন করে চলেছে গ্রামের একটি সন্ত্রাসী চক্র। তিনি এরই মধ্যে প্রায় ৮০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।
সোমবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরে তার ভার ক্লান্ত কন্ঠে লিখিত বক্তব্য পড়ে শুনান তার বিভিন্ন সময় ক্ষতিগ্রস্ত মাছ পেঁপেসহ ফসলের ক্ষয়ক্ষতি। সংবাদ সম্মেলন লিখিত বক্তব্যে মোহাইমেনুল হক বলেন,ঝিকরগাছা সদর ইউনিয়নের লাউজানী ও নওদাপাড়া মাঠে দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে কৃষি, মাছ ও মুরগির খামার পরিচালনা করে আসছেন। তার চাষাবাদের কর্মযজ্ঞে প্রত্যক্ষভাবে প্রতিদিন ৩৫ থেকে কে ৪০ জন শ্রমজীবী ও বিধবা নারী কাজের সুযোগ পান। দেশীয় কৃষিতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য তিনি বহুবার সংবর্ধিত হয়েছেন। কিন্তু এমন নিরলস পরিশ্রম ও সফলতার মাঝেও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা তাকে ধারাবাহিকভাবে ক্ষতি সাধন করে চলেছে।
তিনি বলেন,২৫ শে অক্টোবর রাতে তার ৭ বিঘা জমির পেঁপে ক্ষেতের প্রায় ২৮ শত ফলন্ত গাছ কেটে ফেলা হয়। যার আনুমানিক মূল্য ৫০ লক্ষ টাকা। এছাড়া ১৫ সেপ্টেম্বর রাতে জয়কৃষ্ণপুর গ্রামে তার লিজকৃত ১২ বিঘা ঘেরের পাড় কেটে দিলে ১৬ লক্ষ টাকার মাছ বেরিয়ে যায়। মাত্র তিন দিন আগে ৩১ অক্টোবর তারিখে তার ২.৫ বিঘা জমিতে গ্যাস ট্যাবলেট প্রয়োগে মাছ মারা হয়। এতে তার প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর তারিখে তার লিজকৃত ৫ বিঘা জমির ৮শ ফলন্ত পেঁপে গাছ কেটে ফেলা হয়। যার ক্ষতি পাঁচ লক্ষ টাকার ওপরে। এছাড়াও তার খামারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, পানির পাম্প, সিলিং ফ্যান এবং প্রায় ১০ লক্ষ টাকার মাছ নষ্ট করা হয়েছে। ধারাবাহিক এই ক্ষতি কৃষি ও মাছ চাষে তার নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মোহাইমেনুল হক আরও বলেন, তিনি শুধু আর্থিক ক্ষতির শিকারই হননি। শারীরিকভাবে তার ওপর আক্রমণও করা হয়েছে। গত ১২ আগস্ট ভোরে ফজরের নামাজে যাওয়ার সময় তাকে বাঁশের লাঠি দিয়ে আক্রমণ করে গুরুতর আহত করা হয়। এই আক্রমণ তার জীবনের ওপর সরাসরি হুমকির প্রমাণ। তার পরিবার ও সহকর্মীদের জীবনও অনিরাপদ হয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ সাধারণ ডায়েরি ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে তার ক্ষয়ক্ষতির কথা জানালেও এখন পর্যন্ত প্রশাসন থেকে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ঘটে চলা এই ঘটনার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত বা প্রতিকার না পাওয়ায় তিনি জীবন-জীবিকা নিয়ে শঙ্কায় আছেন। তার পাশে দাঁড়িয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যম ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
আমি সরকারের কাছে আমার ও পরিবারের নিরাপত্তা এবং ক্ষতির সুষ্ঠু তদন্তের আবেদন জানাচ্ছি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here