স্টার রিপোর্টঃ মাগুরা সদর উপজেলায় ৬ টি ইটভাটায় মাগুরা পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান চালিয়েছে।এ সময় ৪টিতে ১৩ লক্ষ টাকা জরিমানা ও ২টির চিমনি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।প্রচুর পরিমানে কাচা ইট নষ্ঠ করা হয়েছে। সোমবার ২০ জানুয়ারি বেলা ১১ টার সময় হতে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত ৪ টি ড্রাম চিমনি ও ২ টি ব্যারেল চিমনি ইটভাটায় অভিযান করে জরিমানা ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাগুরা জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয় সহকারী পরিচালক শোয়েব মোহাম্মদ শোয়াইব, প্রসিকিউটর মোঃ আসিফ আলম পরিদর্শক, যশোর পরিবেশ অধিদপ্তর পরিদর্শক জিহাদ হোসেন, পুলিশের টিম ও সাংবাদিক বৃন্দগণ। সকাল ১১ টায় মিরপাড়া আক্তার হোসেনের মা বিক্রস টিনের চিমনি ইটভাটায় সম্পূর্ণ ভেঙ্গে দেওয়া হয়। এরপর মাগুরা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কাশিনাথপুর মোঃ খলিলুর রহমানের শাপলা ব্রিকসে ৪ লাখ টাকা জরিমানা ও ৩ সারি কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। হাজরাপুর ইউনিয়নের সাইত্রিশ-ইছাখাদায় মোঃ মিজানুর রহমানের মোল্লা বিক্রস ইটভাটায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়। পৌরসভার ইটখোলা বাজারে মোঃ আনিমুল ইসলামের নিউ সোনালী ব্রিকস ইটভাটায় ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। বগিয়া ইউনিয়নের পাতুড়িয়া খোকন মিয়ার এম এম কে বি ইটভাটায় ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং পাতুড়িয়া শুকুর বিশ্বাসের এম আর এস ব্রিকস ইটভাটার চিমনি আগে থেকে ফেলানো ছিলো। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় অবৈধ সমিল ও জলন্ত ইটের গাদা ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মমতাজ বেগম বলেন, মাগুরা সদর উপজেলায় পরিবেশ অধিদপ্তর ৬ টি ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করে ৪ টি ইটভাটায় ১৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ২ টি ড্রাম চিমনি ইটভাটা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়। আর এই অভিযান সামনে মহম্মদপুর উপজেলার অবৈধ ইটভাটায় পরিচালনা করা হবে এবং এই অভিযান নিয়মিত অব্যাহতি থাকবে। তিনি আরও বলেন, মাগুরা জেলার অবৈধ ইটভাটায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এসিল্যান্ড নিয়মিত ভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।