যশোর অফিস : সোমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে আড়পাড়া শাহাপুরের বাসিন্দা মো. শহিদুল ইসলাম জমি দখলের চেষ্টা ও মিথ্যা হয়রানীমুলক মামলার হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করছেন। লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগি শহিদুল ইসলামের পক্ষে জানানো হয় তার পিতা মৃত আব্দুল জব্বার সরদার ১৯৫০ সনে যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ১৮২নং আড়পাড়া মৌজার শাহাপুর আড়পাড়া রাস্তা সংলগ্ন ৩৩ শতক জমি ক্রয় করিয়া ভোগ দখল ও চাষাবাদ করছেন। আব্দুল জব্বার সরদার ১৯৫৭ সাল থেকে ৩৩ শতক জমির খাজনা সরকারী কোষাগারে জমা প্রদান করেন এবং তখন থেকে আব্দুল জব্বার সরদার সরকারী রাস্তা সংলগ্ন দুই দাগের উত্তর পার্শ্ব হইতে ৩৩ শতক জমি ভোগ দখল ও চাষাবাদ করে আসছেন। ১৯৬২ সালে তারা এস, এ রেকর্ডে ১১২৪ নং খতিয়ানে আব্দুল জব্বার ও ফতেজান বিবি এস, এ ১০৬৮, ১০৬৯ নং দাগে ১৭+১৬ শতক মোট ৩৩ শতক জমি নিজ নিজ নামে রেকর্ড করেন। জরিপ রেকর্ড আমলে আর, এস চুড়ান্ত ৫৫৫নং খতিয়ানে আর, এস ১২৪৮, ১২৪৯ নং দাগে ১৭+১৬ শতক মোট ৩৩ শতক জমি পৈত্রিকসূত্রে শহিদুল ইসলাম গং এর নামে রেকর্ড লিপিবদ্ধ হয়।
কিন্তু ২০১৪-১৫ সালে হুমকী প্রদানকারি সার ব্যবসায়ী ইমরান একই দাগের অন্য জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে ইমরান উক্ত ৩৩ শতক জমি জবরদখল করতে নানা ভাবে হুমকি ধামকি প্রদান ও হয়রানি করছেন।
ভুক্তভোগি শহিদুল ইসলাম জমি জবরদখল চেষ্টাকারি ইমরানের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
এদিকে অভিযুক্ত ইমরানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, তিনি শহরতলীর আড়পাড়া মৌজায় আড়পাড়া গ্রামের মরহুম জামাত আলী তরফদারের ওয়ারেশ ফজলুল রহমান কাছ থেকে ২০১৫ সালে আরএস ১২৪৮ দাগের ৪৭ শতক ও ১২৪৯ দাগের ৭২ শতক জমি ক্রয় করেন।
এছাড়াও ওয়াহিদুল এই দাগের ১২ শতক জমি ক্রয় করেন। একই দাগের অপর জমি রেকর্ডিয় সুত্রে মালিক আড়পাড়া শাহাপুর গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে শহিদুল ইসলাম। জমি দাতা ফজলুর রহমান জমি ক্রেতা ইমরান ও ওয়াহিদুলকে বিক্রয় দলিল করে দেয়ার পর চৌহদ্দি নির্ধারন করে জমিও বুঝিয়ে দেন সে সময়ে। এরপর থেকে ইমরান ওহিদুলসহ বর্তমান জমির মালিকগণ শান্তিপূর্ণ ভাবেই জমির ভোগদখল করে আসছিলেন।
শহিদুল ইসলাম বেশ কয়েক বছর আগে ধানের বীজতলা তৈরীর জন্য রাস্তার পাশের সকল উচু অংশ ব্যবহার করার অনুমতি চান। এসময়ে ইমরান হোসেন ও ওহিদুল ইসলাম অপর জমির মালিক শহিদুল ইসলামকে ঐ জমি ব্যবহারের অনুমতি দেন। বছর দুই আগে সরকারি রাস্তা রেখে ক্রয়কৃত জমির প্রকৃত দাগ অনুযায়ী সামনে রেখে লম্বালম্বি ভাবে ব্যবহার করতে গেলে শহিদুল ইসলাম তাতে বাধা দেন ও তিনি এভাবেই জমি রাখবেন বলে তাদের উল্টো হুমকি দিয়ে জমি নিজ দখলে রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে শহিদুল ইসলাম যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপরোন্ত তিনি তার সরকারি চাকুরীজীবী ছেলেকে দিয়ে নানা ভাবে হয়রানি করছেন। এমনকি তিনি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, সহকারি ভুমি কমিশনার এর নিদের্শনা না মেনেই আমাকে নানা প্রকার হয়রানি করছেন। এমনকি আমাকে কিছুদিন আগে একটি সরকারি দপ্তরে ডেকে নিয়ে সারাদিন বসিয়ে রেখে নানা ভাবে হুমকি প্রদান করেছেন। তিনি (ইমরান) কয়েক বছর ধরে এ জমি উদ্ধারে আইনগত ভাবে শুরাহার জন্য বিভিন্ন দফতরে ধর্ণা দিয়ে কোন ফল পাননি। শহিদুল ইসলাম ক্ষমতার জোরে জমি দখল করে আছেন।