যশোরে মতবিনিময় সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে সবক নিতে হবে না

0
20

যশোর অফিস : সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন,বিএনপিকে সংস্কারের ব্যাপারে সবক নিতে হবে না। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যত সংস্কার হয়েছে, তার ৯০ শতাংশ বিএনপি বাস্তবায়ন করেছে। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফাতেও তারই প্রতিফলন ঘটেছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে যশোর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
যশোর শহরের একটি হোটেলে ‘খুলনা বিভাগের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে রাজনৈতিক অঙ্গীকার’ শীর্ষক এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন সেক্টরের ব্যবসায়ী ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এই সভায় অংশ নেন।
সভায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরও বলেন,সংস্কার অনেক দলের কাছে নতুন কিছু হতে পারে; তবে বিএনপির জন্য নতুন কিছু না। বিএনপি একমাত্র দল বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ৯০ শতাংশ সংস্কার যা করা হয়েছে সেটা বিএনপিই করেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি আজ যেখানে এসেছে,এটা বিএনপির সংস্কারের কারণেই। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সংস্কারের মাধ্যমে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র; সরকারচালিত অর্থনীতি থেকে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে রূপ দিয়েছেন। প্রতিটি পদক্ষেপে সংস্কারের মাধ্যমে বাংলাদেশ আজ এখানে এসেছে। বিএনপি যখন রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তখন আমরা একটি শক্তিশালী অর্থনীতি দাঁড় করেছিলাম; সেটা অব্যহত থাকলে অনেক আগেই উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতো বাংলাদেশ। কিন্তু বিগত সময়ে লুটপাট করে বাংলাদেশের অর্থনীতি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন ভ্যাট ও শুল্ক আরোপে সাধারণ মানুষ আরো চাপে পড়বে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, মানুষ নিত্যপণ্যে দামে নাকাল হয়ে পড়েছে। অনেকের দৈনন্দিন জীবন চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে মূল্যস্ফীতির কারণে। এই কর ও ভ্যাটের কারণে অনেক মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে নেমে যাবে। এই ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে যা আয় হবে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশি ব্যয় হবে ওই মানুষগুলোতে দারিদ্র্যসীমা থেকে টেনে তুলতে। তাই এই সরকারকে বলছি, এই কর, এই ভ্যাট প্রত্যাহার করুন। আপনাদের এখন করা উচিত, স্বৈরাচার সরকারের বাজেট বাতিল করা। আপনারা এখন অন্তর্বর্তী বাজেট ঘোষণা করুন। কারণ স্বৈরাচারের বাজেট তো দুনীর্তির বাজেট।
যশোর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মিজানুর রহমান খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি ও শিল্পোউদ্যোক্তা সালিমুল হক কামাল, বিজিএমইএ’র সাবেক পরিচালক মাহমুদুল হাসান বাবুল, বেনাপোল সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের সভাপতি শামসুর রহমান প্রমুখ।
সভা পরিচালন করেন যশোর চেম্বারের কর্মকর্তা শ্যামল দাস। মতিবিনিময় সভায় খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা নিজ নিজ জেলায় বিভিন্ন সমস্যা, সম্ভাবনার প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here