যশোরে সাতটি স্থানে শেখ মুজিবের ভাস্কর্য ও শেখ হাসিনার নাম ফলক ভাংচুর

0
45

জেলা প্রতিনিধি, যশোর : গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর ভারতে আশ্রয় নেয়া শেখ হাসিনার অনলাইনে ভাষণের ঘোষণা দেয়ার প্রতিবাদে যশোরে ৭টি স্থানে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়েছে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে শেখ হাসিনার নামফলকও ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১ টা থেকে শুরু করে গভীর রাত অবধি বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা হাতুড়ি, শাবল দিয়ে এসব ভাস্কর্য ও নামফলক ভাংচুর করে। এসময় ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহ আকবরসহ’ ফ্যাসিবাদ-বিরোধী নানা ¯ে¬াগান দিয়ে ভাংচুর করে কয়েকটি গ্রুপ। এর আগে থেকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে জড়ো হতে শুরু করে। যদিও গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের দিন এসব ভাস্কর্য ও স্থাপনা কমবেশি ভাংচুর করেছিল ছাত্র জনতা।
ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনার অনলাইন ভাষণের ঘোষণা আসার পরপরই এর পাল্টা কর্মসূচি দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা প্রথমে যশোর পৌরসভার ভিতরে শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্য ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। এরপর মোটরসাইকেলে ¯ে¬াগান দিতে দিতে মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবনের শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, বকুলতলার ভাস্কর্য, জেলা পরিষদের ভিতরে ম্যুরাল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শেখ হাসিনার নামফলক, মনিহার বিজয় স্তম্ভের প্রাচীরে মুক্তিযুদ্ধের সময়কালের দৃশ্যপট খোদাই করা ভাস্কর্য ভাংচুর করে। সেখান থেকে বিক্ষুব্ধ জনতা সদর উপজেলা পরিষদের ভিতরে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অভয়নগর, ঝিকরগাছা, কেশবপুরে উপজেলা পরিষদের ভাস্কর্য ভাঙচুর করার ঘটনাও শোনা গেছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, কয়েকটি স্থানে ভাংচুর হয়েছে বলে শুনেছি। কে বা কারা করেছে সেটা জানা নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here