যশোর শামস্-উল-হুদা একাডেমিতে ভবন উদ্বোধন আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশে ফুটবলে সফলতা আসবে : আর্জেন্টিনার অ্যাম্বাসাডর

0
45

স্টাফ রিপোর্টার : যশোরে শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির ‘ভাষা সৈনিক মুসা ভবন’র উদ্বোধন করলেন আর্জেন্টিনার অ্যাম্বাসাডর মি. মারসেলো কারলোস সিসা। শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে যশোর সদরের হামিদপুরে অবস্থিত একাডেমিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আর্জেন্টিনার অ্যাম্বাসাডর মারসেলো কারলোস সিসা এই ভবনের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের পর প্রধান অতিথি মি. মারসেলো কারলোস সিসা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে ফুটবল খেলা হয়। এখানে ধনি-গরিব, ছোট-বড় সব স্তরের মানুষই ফুটবল খেলা দেখতে মাঠে আসে। ফুটবল খেলার আনন্দ সকলেই ভাগাভাগি করে নেয়। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশে ফুটবলে সফলতা আসবে। ‘এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহ’ এবং শামস-উল-হুদা ফুটবল একাডেমির ‘ভাষা সৈনিক মুসা ভবন’ উদ্বোধন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বেলুন উড়িয়ে ‘এএফসি গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহ’র আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মি. মারসেলো কারলোস সিসা। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আওয়াল, সহ সভাপতি নাসের শাহরিয়ার জাহেদী, ওহেদ উদ্দীন চৌধুরী, ফাহাদ কবীর, সদস্য ইকবল হোসেন, গোলাম দাউদ, কামরুল হাসান, সাখাওয়াত হোসেন শাহিন, সাইদুর রহমান মনি ও শামস্ উল হুদা ফুটবল একাডেমির পরিচালক শামস্ উল বারী শিমুল। গ্রাসরুটস ফুটবল ডে ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহের উদ্বোধনকালে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আওয়াল বলেন, আমরা তৃণমূল পর্যায় থেকে ফুটবল খেলোয়াড়দের উন্নয়ন করতে চাই। গ্রাসরুটস ফুটবল দিবস ও বিশ্ব ফুটবল সপ্তাহে তৃণমূল থেকে ছয়শ’ ফুটবলার অংশ নিয়েছে। এটা একটি বড় রেকর্ড। বাফুফের অন্তর্ভূক্ত রয়েছে ২২২টি একাডেমি। প্রতিটি একাডেমির পেছনে বাফুফে কোনো না কোনোভাবে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। কারণ গ্রাসরুটস লেভেলে আমাদের খেলোয়াড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আমরা এসব ফুটবলারের যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চাই। এই মাঠে তৃণমূল পর্যায় থেকে অনেক খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। আজকে এখান থেকে আমি যে উৎসাহ নিয়ে যাচ্ছি এটা দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে দিবো। তিনি আরও বলেন, আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি লিখিত চুক্তি আছে দুই দেশের ফুটবল উন্নয়নের জন্য। একইসাথে দুই দেশের সমর্থকদের ভালোবাসা রয়েছে। আর্জেন্টিনার রাষ্ট্রদূত নিজেই বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের ফুটবলারদের দেখতে ছুটে এসেছেন। যা খেলোয়াড়দের দারুণভাবে অনুপ্রাণিত করবে। আমরা চাই, শামস্-উল-হুদা ফুটবল একাডেমি যা করছে, তাতে গ্রামপর্যায় থেকে ফুটবলের উন্নয়ন হবে। ফুটবলের উন্নয়নে আমরা এমন মাঠই চাই। এরপর একাডেমি মাঠে ৭ থেকে ১৪ বছর বয়সী ফুটবলাররা একটি সংক্ষিপ্ত ম্যাচে অংশ নেয়। অতিথিরা তাদের ক্রীড়ানৈপূণ্য উপভোগ করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here