বিএনপির রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে শিক্ষকদের সাথে সেমিনারে নার্গিস বেগম/ সুচিন্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যেতে পারে

0
89

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, বিএনপি জনগণের ভোটের মাধ্যমেই ক্ষমতার পরিবর্তনে বিশ্বাসী। বিগত ১৬ বছর বিএনপি এ কারণেই রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছে। জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। সুচিন্তিত শিক্ষাব্যবস্থা একটি রাষ্ট্রকে সর্বোচ্চ মর্যাদায় নিয়ে যেতে পারে। শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ছাড়া দেশ ও জাতির পরিবর্তন কখনোই সম্ভব না। বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফার আলোকে জ্ঞানভিত্তিক গণতান্ত্রিক, মানবিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার সকালে সমমনা শিক্ষকজোট যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে যশোর শিল্পকলা একাডেমীতে “ রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা এবং শিক্ষকদের ভূমিকা “শীর্ষক এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির যশোর জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন। সেমিনারের প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন জাতীয়তাবাদী কৃষক দল কেন্দীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টি এস আইয়ুব, যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি বিজ্ঞ পিপি এড সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন। সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন বাকশিসের জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান শাহীন, মাষ্টার রাজীব মাহমুদ, অধ্যাপক আমিনুর রহমান পিন্টু, আমিনুর রহমান মধু, আলমগীর সিদ্দিকি, মাষ্টার মিজানুর রহমান, প্রভাষক কামরুন্নার, এ কে এম শরীফুল আলম, আব্দুস সবুর খান, নাজমুল হোসেন, হাসানুজ্জামান শাকিল, ফিরোজ হাসান প্রমুখ। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাকে আনন্দময় করে তুলতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য টিফিনের ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি সর্বত্র গণশিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছিলেন। নিরক্ষরতা দূর করতে গ্রহণ করেছিলেন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি বুঝেছিলেন বাংলাদেশ বিনির্মাণের সহযাত্রী হিসেবে শিক্ষক সমাজের গুরুত্ব অপরিসীম। ফলে সমাজ গড়ার কারিগর হিসেবে শিক্ষকদের শিরদাড়া শক্ত করে রাখতে হবে। প্রধান আলোচকের বক্তব্যে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত শিক্ষক সমাজকে জাতির সামনের আলোকবর্তিকা উল্লেখ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা শিক্ষকদের মর্যাদাকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে এনে নামিয়েছিল। তাদেরকে দিয়ে নির্বাচনে ব্যালট পেপারে জোরপূর্বক সীল মেরে বাক্সে ঢুকাতে বাধ্য করেছিল। ভোট ডাকাতির মত একটি জঘন্য কাজে শিক্ষকদেরকে সম্পৃক্ত করেছিল। সেই শিক্ষকদের শিক্ষা ছাত্র-ছাত্রীদের হৃদয়ে কতটুকু দাগ কাটবে সেটিই ভাববার বিষয়। সেদিন সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ আওয়ামী সরকারের ভোট ডাকাতির বিষয়টি গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিল। আবার অনেক শিক্ষক সেদিন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের জঘন্য এবং ঘৃণিত কাজকে প্রত্যাখ্যান করে আনন্দচিত্তে শাস্তি কে মাথা পেতে নিয়েছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here