যশোর পাগলাদাহ বিধবা বোনকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় হত্যা আটক দুই

0
21

যশোর অফিস : যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের পাগলাদাহ গ্রামে বিধবা বোনকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার প্রতিবাদ করায় রিকশাচালক শহিদকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার কয়েকঘন্টার মাথায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। আটককৃতরা হলেন,পাগলাদাহ গ্রামের মানিক জমাদ্দারের ছেলে ইয়াসিন হোসেন ওরফে ইরান এবং আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে রিয়াজ হোসেন। শনিবার মধ্যরাতে চৌগাছা উপজেলার কালিয়া কুন্ডু গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে নিহত শহিদের বাবা বশির আহম্মেদ কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মোট সাতজনকে আসামি করা হয়েছে। পলাতক আসামিরা হলেন, জাহাঙ্গিরের ছেলে মিরাজ, তার ভাই আলিফ, রিয়াজ, পিয়াস, একই গ্রামের আমিনুল এবং অজ্ঞাতনামা আরও চার থেকে পাঁচজন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, নিহত শহিদের বিধবা বোন শাহিদা বেগমের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে কুনজর দিয়ে আসছিল আসামি মিরাজ। সে প্রায়ই শাহিদার সঙ্গে খারাপ ও অশালীন কথাবার্তা বলত। বিষয়টি জানতে পেরে শহিদ এর প্রতিবাদ করলে উভয়ের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। শুরু হয় শক্রতা। এছাড়া শাহিদা বেগম একটি ইজিবাইক কিনলে সেটি ভাড়ায় নেওয়ার জন্য মিরাজ তার কাছে আসে। কিন্তু পূর্বের কুপ্রস্তাব ও খারাপ আচরণের কারণে শাহিদা তাকে ইজিবাইক ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান। ভাড়া না দেওয়া এবং কুপ্রস্তাবের প্রতিবাদ করাই শহিদ হত্যার মূল কারণ বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে আরও বলা হয়, শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পাগলাদাহ এলাকায় সোহাগীর বাড়ির সামনে ‘রহমানের দোকানের মোড়’ নামক স্থানে পূর্বশত্রুতার জেরে একই গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে শহিদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আসামিরা তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় শহিদের বাবা বশির আহম্মেদ তাকে উদ্ধার করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে শহিদকে মৃত ঘোষণা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here