গাজী আব্দুল কুদ্দুস চুকনগর :চুকনগরের গেলাবদহে হাঁস চুরি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধাওয়া খেয়ে মোটর সাইকেল রেখে পালিয়েছে চোরেরা। ঘটনাটি ঘটেছে ডুমুরিয়া উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের গেলাবদহ গ্রামে। এদিকে উক্ত পরিবারটি এক অজানা আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে।
গেলাবদহ গ্রামের মৃত অধীর সরদারের পুত্র শিশির সরদার জানায়, গত ১৩ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অন্ধকারে একজন লোক (হাফ প্যান্ট পড়া ফর্সা আকৃতির) এসে তাকে বলে দাদা আমাকে ২টি সিগারেট দিবেন। তখন তিনি বলেন, আপনি এত রাতে কোথা থেকে এলেন। উত্তরে নাম ঠিকানার কোন পরিচয় না দিয়ে তিনি বলেন, আমাকে চিনতে পারলেন না। আমিতো প্রায়ই কুলবাড়িয়া গ্রামের নগেন কাকার পুত্র সন্দীপের সাথে আপনার দোকানে আসি। তখন দোকানদার তার কথা বিশ্বাস করে সিগারেট দিতে দিতে বলেন ভাই এত রাতে আর কোনদিন আসবেন না। এমনিতে আমরা ভয়ে ভয়ে থাকি। কারণ ইতোপূর্বে এভাবে আমার ১টি বড় খাসি ছাগল যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১০ হাজার টাকা ও ৮টি রাজ হাস চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। একথা বলতে বলতে তিনি এত রাতে (ভয়ে ভয়ে) লোকটিকে চেনার চেষ্টা না করে বাড়িতে চলে যান। কিন্তু পূর্বের চুরির কথা মনে করে আর ঘুম আসনি তার। তাই অজানা ভয়ের কারণে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে তিনি হাঁস রাখার খোপ দেখতে আসেন। এসে দেখতে পান কে যেন অন্ধকারে খোপ হতে হাঁস বের করছে। তখন তিনি চিৎকার দিলে লোকটি হাঁস রেখে পালিয়ে যান। ততক্ষণে তার চিৎকারে পাশের বাড়ির স্বপন নামে এক ব্যক্তি উঠে আসলে হাঁস চোর খোঁজার জন্য তারা বের হয়ে দেখতে পান রাস্তার উপর একটি প্লাটিনা গাড়ি রাখা। এরই মধ্যে সিগারেট নেয়া সেই ব্যক্তি রাস্তার উপর বের হয়ে আসে। কিছুক্ষণ পর ব্রীজের মাথার মনোর ছেলে পার্থ এসে বলে দাদা ও আমার চেনা লোক ওকে একটু ছেড়ে দেন। তখন তিনি বলেন, ওকে ছাড়তে পারি তবে গাড়ি ছাড়ব না। এ কথা শেষ হতে না হতেই সন্দীপ ও গোপাল আরও একজন একটি পালসার মোটরসাইকেল চালিয়ে তার বাড়ির সামনে আসে। কিন্তু মাদারতলা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ এএসআই আব্দুল হান্নানকে ফোন করার সংবাদ শুনে তারা চলে যান । এ সংবাদে মাদারতলা পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ আব্দুল হান্নান ঘটনাস্থলে গিয়ে মোটর সাইকেলটি পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে এএসআই আব্দুল হান্নান বলেন,ডুমুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলাম বিপ্লব স্যারের নির্দেশে আমি আটককৃত মোটর সাইকেলটি থানায় পৌছে দিয়েছি। শিশিস সরদার আরও বলেন, আমরা জানতে পেরেছি আটককৃত মোটর সাইকেলটি কুলবাড়িয়া গ্রামের নিতাই সরদারের পুত্র রাজু সরদারের। কিন্তু এ ঘটনার পর তাদের টেনশান আরও বেড়ে গেছে। কখন না জানি এই চোর চক্রের রোষানলে পড়ে পূর্বের থেকে আরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।