হেলাল উদ্দিন, রাজগঞ্জ প্রতিনিধি : মণিরামপুরে দেনার দায়ে ও রোগের জ্বালা সইতে না পেরে এক পুরুষ ও এক নারী আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার (২ মে) রাতে মণিরামপুরের খানপুর ইউনিয়নের ঘুঘুদা ও মুন্সিখানপুর গ্রামে পৃথক দু’টি ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা পুলিশ রোববার (৩ মে) সকালে লাশ দু’টি উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। পৃথক ঘটনায় থানায় দু’টি অপমৃত্য মামলা হয়েছে।
জানাগেছে- নিহত তারক দাস (৫৫) উপজেলার ঘুঘুদা গ্রামের মৃত জগবন্ধু দাসের ছেলে এবং আয়েশা বেগম (৩৫) মুন্সিখানপুর গ্রামের গোলাম রব্বানী তোতার স্ত্রী।
মণিরামপুর থানার এসআই সৈয়দ আজাদ আলী বলেন- তারক দাস গ্রামে গ্রামে চুরি-ফিতা বিক্রি করতো। সংসার চালাতে তিনি বেশ কিছু টাকা-পয়সা দেনা হয়ে পড়েন। প্রায়ই পরিবারের লোকজনদের সে আত্মহত্যার কথা বলতো। শনিবার (২ মে) রাতে ওষুদ কেনার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয় তারক। রাতে আর বাড়ী ফেরেনি। পরে রোববার (৩ মে) সকালে বাড়ীর পাশের মেহগনি গাছের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে। তারক গলায় রশি জড়িয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে মুন্সিখানপুর গ্রামের আয়েশা বেগম দীর্ঘদিন রোগাক্রান্ত ছিলেন। গত ১০-১২ বছর ধরে স্বামী তার কোনো খোঁজখবর নেননি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে শনিবার (২ মে) রাতে কোনো এক সময় তিনি গলায় রশি পেঁচিয়ে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। রোববার (৩ মে) সকালে স্বজনরা তার লাশ উদ্ধার করে।
এসআই আজাদ আরো বলেন- লাশ দু’টি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পৃথক ঘটনায় থানায় দু’টি অপমৃত্য মামলা হয়েছে।