জসিম উদ্দিন, শার্শা প্রতিনিধি : জ্যৈষ্ঠের মধুমাস শুরু হতে আর কিছুদিন বাকি। এরই মধ্যে একটু আগে ভাগেই যশোরের শার্শা উপজেলার বাজারে উঠতে শুরু করেছে মধুমাসের ‘অতিথি’ ফল লিচু। বাজারে মাত্রায় কম থাকায় কিছুটা বেশি দামে বিক্রি হওয়া সুস্বাদু মিষ্টি মধুর এ ফলটির স্বাদ নিতে পারছে না অনেক নিম্ন আয়ের মানুষ। দেশি জাতের লিচু আকারে ছোট এবং স্বাদেও হালকা টক হলেও করোনা পরিস্থিতির বর্তমান সময়ে অনেক মানুষের কাছে এই ফলটি খাওয়া কিছুটা কষ্টকর ব্যাপার।
তাই দেশি লিচুতে মৌসুমী বেচাকেনা এখনো তেমন ভাবে জমে ওঠেনি। ধারণা করা হচ্ছে বোম্বাই জাতের লিচু দিয়ে মধুমাস জৈষ্ঠ্যের বাজার জমে উঠবে। এবং গোপালভোগ, হিমসাগর, খিরসাপাত ও ল্যাংড়াসহ বিখ্যাত জাতের আমগুলো পুরোদমে না ওঠা পর্যন্ত মৌসুমি ফলের বাজার থাকবে লিচুর দখলে। শার্শা উপজেলার নাভারণ বাজারের ফল ব্যবসায়ীরা জানান, চলতি সপ্তাহে বাজারে এসেছে গুটি জাতের দেশি লিচু। উপজেলার আশপাশের বাগানগুলো থেকে লিচু এনে বিক্রি করছেন তারা। প্রতি থোকায় একশ লিচু বিক্রি হচ্ছে দুই থেকে আড়াইশ টাকায়। করোনার ভাইরাসের ভয়াল থাবায় এবার একটু দাম বেশি হয়েছে বলেও দাবি করছেন মৌসুমী ফল ব্যবসায়ীরা। বাজারে দেশি লিচু আগে উঠলেও কেনাবেচা জমেনি। বোম্বাই জাতের লিচু বাজার আসলে লিচুর বাজার জমজমাট হবে তখন দামও কিছুটা কম হবে জানান তারা। মৌসুমি লিচু ব্যসায়ী আরিফ হোসেন ও শিল্পি বলেন, স্থানীয় ভাবে দেশি জাতের লিচু দুই শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছ। লিচুর আকার এবং মালের ভাল মন্দ মিলে কিছু লিচু দেড় শত টাকা কেজিও বিক্রি হচ্ছে। দেশি জাতের ভাল লিচু হলেও দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি। একটু আগে ভাগেই বাজারে দাম ধরতে লিচু চাষিরা বাগান থেকেই বেশি দামে বিক্রি করছে।
শার্শা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সৌতম কুমার শীল বলেন, শার্শায় বাণিজ্যিক লিচুর অনেক বাগান গড়ে উঠেছে। লিচু চাষ করে অনেকেই স্বাবলম্বী হয়েছেন। ফলে দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে বাণিজ্যিক লিচু চাষ। শার্শা উপজেলা কৃষি অঞ্চলে ৭৫ হেক্টর জমিতে লিচু বাগান রয়েছে। লাভজনক হওয়ায় এ অঞ্চলে বাড়ছে বাণিজ্যিক লিচু বাগান। এ বছরও ভাল ফলন হয়েছে। বেশি দামে বিক্রি হলে লিচু চাষিরা অনেক লাভবান হবেন।