নড়াইল প্রতিনিধি:নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নে প্রকৃত হত দরিদ্ররা ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড পেয়েছেন বলে জানা গেছে।করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম চঞ্চল নিয়মিত গনসচেতনতা কার্যক্রম চালানোর পাশাপশি প্রকৃত হতদরিদ্রদের তালিকা করে তাদের মাঝে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০টাকা কেজি দরের চালের কার্ড সমভাবে বন্টন
করেছেন বলে তিনি জানান।কার্ড বিতরণে তিনি আত্মীয়করণ বা ব্যক্তিস্বার্থ’র বিষয়টিকে সম্পূর্ণরুপে উপেক্ষা করেছেন বলে এলাকাবাসী জানান। ইউপি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নড়াইলের কাঁচা বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ইকবাল শেখ। বাড়ি হবখালী ইউনিয়নে। প্রতি হাটবারে মাটিতে বসে সবজি বিক্রি করে সংসার চালান। অভাব যেন তার নিত্য সঙ্গী।ইউপি চেয়ারম্যান চঞ্চল মানবিক দিক বিবেচনা করে ইকবালের অনুকূলে একটি কার্ড প্রদান করেছেন।করোনা পরিস্থিতিতে অভাবে পড়া ইকবাল জানান,এ কার্ডের মাধ্যমে স্বল্প টাকায় বেশি
পরিমাণে চাল তুলতে পারবেন।এ কারণে সংসারে কিছুটা হলেও স্বচ্ছলতা ফিরে আসবে বলে তিনি জানান। দুই চোখ অন্ধ আসাদুজ্জামানকেও দেয়া হয়েছে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড। তার দুই অন্ধ আসাদুজ্জামানের স্ত্রী তামেশা বেগমজানান, সংসারে উপার্জনক্ষম তেমন কেউ না থাকায় কম টাকা দরের চালের কার্ড পেয়ে সংসারের ঘানি টানার কষ্ট অনেকখানি দুর হবে। এমনিভাবে ভান্ডারিপাড়া গ্রামের প্রতিবন্ধী রবিউল ইসলামসহ যারাই কার্ড পেয়েছেন তারা ািকছুটা হলেও স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলেছেন।,হবখালী ইউপি চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম চঞ্চল বলেন, ৫ মে সমাজে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে ১০ টাকা কেজি দরের চালের কার্ড বিতরণকে কেন্দ্র করে নানাধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে।কার্ড বিতরণে আত্মীকরণ করা হয়েছে বলে ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।তিনি এধরনের সম্পূর্ন মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিতঅপপ্রচারের কাউকে কান না দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।তিনি আরো বলেন,একটিকুচক্রী মহল আমার সুনাম নষ্ট করার জন্য এধরনের কুৎসা রটনা করছে।নীতিমালা মেনে প্রকৃত হতদরিদ্রদের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।