কামরুল ইসলাম : স্ত্রী বললো ঘরে খাবার নেই। শুনে দিনমজুর ইউনুছ আলী(৫৫) অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। ডাক্তার বললেন, স্ট্রোক করেছে। এখনই তার ৫টি টেস্ট লাগবে। শুনে পরিবারের লোকজন হতবাক। অর্থাভাবে খাবার কিনতে পরেনি যে পরিবার তারা চিকিৎসার টাকা জোগাড় করবে কিভাবে—? ।
যশোরের অভয়নগর উপজেলায় পৌরসভার কাপাষহাটি গ্রাম। গ্রামটি পৌরসভার অধীনে হলোও আধুনিকার ছোয়া থেকে দূরে আছে। এখানে কিছু অংশ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন, রাস্তা-ঘাট ও পাকা হয়নি। এলাকার অনেকের অভিযোগ করোনা দুর্যোগের মাঝে এই এলাকার হতদরিদ্ররা পাইনি কোনো অর্থনৈতিক সাহায্য।
স্ট্রোকে আক্রান্ত দিনমজুর ইউনুস আলী ওই গ্রামের একজন বাসিন্দা। পেশায় একজন বেসরকারি জুট মিল শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তার ঘরে খাবার জোটেনা। এলাকার দ’ুএক জনের দয়ায় যা জোটে তাতে পরিবারের এক বেলা অথবা দু বেলা খাবার জোগাড় হয়। ৫ জনের সংসারের বোঝা মাথায় নিয়ে তার দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এমনি পরিস্থিতিতে গত রোববার (৩মে)) ইফতার শেষে তার স্ত্রী বললেন, ঘরে খাবার নেই শুনেই সে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে যায়। তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ডাক্তার বললেন, স্টোক করেছে। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে ডাক্তার তার রোগ নির্ণয়ের জন্য একধিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। জানা গেছে, ওই সব পরীক্ষার জন্য প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু যে পরিবারে খাবার জোটেনি বলে দুশ্চিন্তায় স্টোক করলো পরিবারের কর্তা। এখন তার রোগের পরীক্ষার জন্য হাজার হাজার টাকা কোথা থেকে জোগাড় করবে। সেই ভাবনায় পুরো পরিবার এখন অসুস্থ।