মোঃ আক্তার হোসেন, রোহিতা প্রতিনিধিঃ যশোর মণিরামপুরে চলতি ইরিবোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ইরিবোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।মনিরামপুরে অন্যান্য বছরের তুলনায় ইরিবোরো অনেক বেশি ভালো বলে সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস ও কৃষকদের এমন ধারনা করা যাচ্ছে। চলতি বছরে ইরিবোরো শস্য কর্তনে ১ বিঘা প্রতি প্রায় ২৭ মন এই হারে বোরো ধানের ফলন হবে বলে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু গত কয়েকদিনের প্রতিনিয়ত বৃষ্টিতে ধান ঘরে তুলতে যেয়ে কৃষকেরা পড়েছে চরম বিপাকে। তাদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। ধানের বাম্পার ফলন আর বাজার দর ভাল থাকায় চলতি মৌসুমে ইরিবোরো ধানকে ঘিরে কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটলেও কাল বৈশাখীর ঝড় ও ভারী বর্ষনে ধান নিয়ে প্রতিটি কৃষক পরিবার পড়েছে মহাবিপাকে। পাকা ধান কর্তন করে মাঠের ক্ষেতে ফেলে রেখে আসার পর পরই টানা কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় মাঠের ধান ঘরে তুলতে কৃষকদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। কৃষকেরা ধান উৎপাদনের এক কিয়দাংশ খরচ পুষিয়ে নেয় গোখাদ্য বিচালি বিক্রি করে । কিন্তু এবার টানা কয়েকদিন ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ধান ক্ষেতে পানি জমে যাওয়ায় বিচালি বানাতে না পেরে অনেক কৃষক ভিজা ধান আটি বেঁধে বাড়িতে এনে ধান ঝেড়ে নিচ্ছেন। অন্যদিকে এলাকা তরুণ যুবক দাউদ হোসেন কৃষকের পাশে। সার্বিক সহযোগিতায়, সজীব, নাঈম, সাকিব।
উপজেলার রোহিতা কোদলাপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহমান মাস্টার জানান, এবার ধানের ফলন ভালো হলে পর পর কয়েকদিনের ঝড় বৃষ্টিতে ধান ভিজে যাওয়ায় তা শুকায়ে বিচালি বাধে বাড়ি আনতে হিমসিম খেতে হচ্ছে। বেশি দাম দিয়েও কৃষেন পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, চলতি ইরিবোরো মৌসুমে মণিরামপুর উপজেলায় ২৭ হাজার ৯শ’ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। তবে বিগত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন কয়েকগুণ বেশি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের দাবি।