নড়াইলে মেম্বরের বাড়ি যেতে যেতে ক্লান্ত ৮০ বছরের তৃষ্ণা রানীর!! টাকা দিয়ে ও ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড

0
475

(নড়াইল জেলা) প্রতিনিধি : নড়াইলে টাকা দিয়ে ও ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড অসহায় ৮০ বছরের তৃষ্ণা রানীর। তৃষ্ণা রানী বাড়ি নড়াইল সদরের কড়োলা ইউপির বাহির গ্রামে। বয়স ৮০ বছরের উপরে। বয়সের ভারে কাতর। দেখা শোনা করার মত তেমন কেউ নেই। কানে ভাল শুনতে পায় না। একটি ভাতার কার্ডের জন্য মেম্বরের বাড়ি যেতে যেতে ক্লান্ত। টাকা দিতে না পারায় মেম্বরের নজরে আসেনি এ বয়স্ক অসহায় বৃদ্ধা মানুষটি। তার কপালে ও মেলেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। অভিযোগ উঠেছে, অর্থ ছাড়া মেলেনা বয়স্ক ও বিধবা ভাতার কার্ড। বয়স্ক ও বিধবারা ভাতার কার্ড নিতে চাইলে টাকা দিতে হয় মেম্বারকে। দীর্ঘ দিন ধরে গ্রামের সহজ সরল নিরীহ মানুষদের নিকট হতে ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন স্থানীয় মেম্বর আনোয়ার হোসেন। অসচ্ছল বয়স্ক ও বিধবাদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে ভাতার কার্ড দেয়া হচ্ছে সচ্ছলদের। আবার অনেকের নিকট হতে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কার্ড করে দিতে পারিনি এমন তথ্য ও ভেসে উঠেছে। এমনই অসচ্ছল এক কৃষক নড়াইল সদরের কলোড়া ইউনিয়নের বাহিরগ্রাম কুন্ডু পাড়ার রনজিৎ বিশ্বাস। তিনি জানান, আমার নিকট হতে আনোয়ার মেম্বর বয়স্ক ভাতা করে দেওয়ার কথা বলে ২ হাজার টাকা নেয়। পরবর্তীতে কার্ড করে দিতে না পেরে ২ বছর পর আমার টাকা ফেরত দেয়। কার্তিক কুন্ডু বলেন, আমার নিকট হতে আনোয়ার মেম্বর ১৫শ টাকা নিয়েছে । বয়স্ক ভাতা করে দেবে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কার্ড করে দেয়নি। একই ভাবে রনজিৎ অধিকারীর নিকট হতে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মেম্বার আনোয়ার। তিনি বলেন টাকা দিয়ে ও আমার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। এ করম ভাবে বাহিরগ্রামের শতাধিক পরিবারের নিকট হতে নগত অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন। শুধু তাই নয়, ভাতা প্রাপ্ত অনেকেই নাম প্রকাশে অইচ্ছুক জানান,আমাদের নিকট হতে ভাতার কার্ড করতে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়েছে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়া হতদরিদ্র অসহায় তৃষ্ণা রানী বলেন, আমার আর কত বয়স হলে পাবো বয়স্ক ভাতা? টাকা দিতে না পারায় তার ভাগ্যে জোটেনি বয়স্ক ভাতার কার্ড। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, যাদের নিকট হতে টাকা নিয়েছি তাদের কার্ড করে দিয়েছি। আর যাদের কার্ড করে দিতে পারিনি তাদেরকে টাকা ফেরত দিয়েছি। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস আলী সর্দার বলেন, টাকা নেওয়া হয়েছে এটা আমার জানা নেই।নড়াইল সদর উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার উত্তম সরকার জানান, আমাদের অফিসে কোন প্রকার ভাতার কার্ড করতে টাকা নেওয়া হয় না। যদি কোন ইউপি মেম্বার টাকা নিয়ে থাকেন সেটি আমারা জানি না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here