দশমিনায় বীজাগারগুলোর জমি অবৈধ দখলে ভবনগুলোর বেহাল দশা

0
517
SAMSUNG CAMERA PICTURES

নাসির আহমেদ,দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্মিত বীজাগারগুলো অযতœ ও অবহেলা এবং সংস্কার না করাসহ তদারকির অভাবে বেদখল হয়ে যাচ্ছে। তদারকি না থাকার কারনে ভবনের আশে পাশের জমিগুলো অবৈধ দখলে চলে যাচ্ছে। জমির দাম বৃদ্ধি পাবার কারনে যার যা ইচ্ছে মত ভবনের চারপাশে দোকানঘর নির্মান করছে। ফলে ভবন সংলগ্ন জমি সংকুচিত হয়ে পড়ছে। দখলে দখলে ভবনের দেয়ালসহ স্থাপনা যে কোন মুহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় থাকা এই বীজাগারগুলো রক্ষনাবেক্ষন না করায় ভগ্নদশায় পরিনত হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় তিনযুগ আগে এই বীজাগারগুলো নির্মান করা হয়। উপজেলায় প্রাকৃতিক দূর্যোগকালীন সময়ে কৃষি বীজ সংকট মোকাবেলায় উন্নতমানের বীজ সংরক্ষন ও কৃষকদের মাঝে দূর্যোগ পরবর্তী বীজ সরবরাহ এবং কৃষি তথ্য সার্ভিস প্রদানের জন্য এই বীজাগারগুলো নির্মান করা হয়ে ছিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন সূত্র থেকে জানা যায়,১৯৭০ সালে বন্যা পরবর্তী উপকূলীয় এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় তৎকালিন সরকার ইউনিয়ন পর্যায়ে কৃষি কার্যক্রম কৃষকদের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে বীজাগার কেন্দ্রগুলো নির্মান করে ছিল। প্রাকৃতিক দূর্যোগ পরবর্তী আপদকালীন বীজ সংরক্ষন ও কৃষকদের মধ্যে উন্নত বীজ এবং তথ্য পৌছে দেবার লক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নে একজন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার অফিসসহ আবাসন ব্যবস্থার সুযোগ সুবিধা দিয়ে এই বীজাগার কেন্দ্রগুলো নির্মান করা হয়। কৃষকদের ঘরে ঘরে কৃষি সেবা পৌছে দিতে এই কেন্দ্রগুলো তৎকালিন সময়ে বেশ গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেছে।
বর্তমানে নানা সংকটের কারনে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্মিত ৬টি বীজাগার যুগের পর যুগ ধরে জরাজীর্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সংস্কার না করায় বীজাগারের পুরানো ভবন ও অবকাঠামোগুলো ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ৬টি বীজাগারে বীজ সংরক্ষন, কৃষি প্রযুক্তির সুরক্ষা, কৃষি তথ্য সার্ভিস বিষয়ক কোন দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে না। বর্তমানে বীজাগারগুলো দিন দিন বেদখল হয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে তদারকির অভাবে অধিকাংশ বীজাগারগুলো জঙ্গলে আবৃত হয়ে পড়ছে। উপজেলা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের সফল কৃষক হানিফ আকন বলেন, এক সময়ে এই সকল বীজাগার থেকে এলাকার কৃষকরা প্রাকৃতিক দূর্যোগ পরবর্তী মানসম্মত বীজ সংগ্রহে পাশাপাশি কৃষি বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ পেতেন। বর্তমানে বীজাগারগুলোতে কোন কার্যক্রম নেই। কৃষি বিপ্লবের স্বার্থে এবং কৃষকদের মধ্যে উন্নত মানের বীজ সরবরাহ করার জন্য বীজাগারগুলোর সংস্কার করা প্রয়োজন। এই বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বনি আমিন খান বলেন, ৬টি বীজাগারের সীমানা প্রাচীর নির্মান করা সহ বেদখলের হাত থেকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here