(নিজস্ব প্রতিবেদক) : হে ঈশ্বর তুমি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দুদের) সতবুদ্ধি দাও প্রভু।একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার শক্তি যোগাও প্রভু।করোনায় আর যাই হোক মনুষ্যত্বের মুখোশধারী অমানুষদের চিহ্নিত করতে বেশ সাহায্য করেছে…
এরপর ও যদি কোনদিন আত্মীয় স্বজন সমবেদনা দেখাতে আসে লাথি মেরে বিদায় করবেন দিদি..
খুবই লজ্জার এ লজ্জা আমাদের..হে সনাতনী লুন্ঠিত আজ মনুষ্যত্ব, স্বামীর সৎকারে কাছে পেলেন না আত্মীয়-স্বজন স্বজাতিকে। স্ত্রী একাই করলো স্বামীর সৎকার। ভয়ঙ্কর এক মনুষ্যত্বহীন জাতি হিসেবে আজ বেঁচে আছি আমরা। মুখে ও কাজে হাজার ফারাক।প্রতিবছর হিন্দুধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপনের এবং তার লক্ষ্য লোকের সমাগমের প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। অন্যতম দুর্গাপূজা, জন্মষ্টমী, রথযাত্রা এবং শিব রাত্রি উদযাপন। দূর্গা পুজোর পরিক্রমা নামে গাড়ির বড় বড় রোড শো । সেই সাথে থাকে নানা রকমের আয়োজন। আবার বড় বড় সংগঠের কেন্দ্রীয় নেতারা কর্মী সন্মেলন বা সন্মেলনের নামে প্রতি মাসে জেলায় জেলায় সফর করে ফেইজবুকে পোষ্ট করে সেকি আত্ম প্রচার করা ট্রেডিশন হয়েছে। পুজোর নামে বড় বড় মন্দির প্যান্ডেল করে এক ইলাইক আয়োজন করে থাকে। অনুষ্ঠানের ক’দিন বড় বড় নেতাদের এত তাড়া যে খাবার টাইম টাও পায় না তারা।
আজ জানতে ইচ্ছে করছে, কই করোনা কালীন এই দুর্যোগ মুহুর্তে সেসব হিন্দু সংগঠন বা নেতারা কয়জন হিন্দুর পাশে এসে দাঁড়িয়েছে । কেন আমরা সনাতনীরা মননে গড়া একটি বিশাল ভান্ডার। সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি– বাস্তবিকতা কি সত্যিই তাই? আজ এই করোনার দূর্যোগেও কেউই একতাবদ্ধ নয়। মৃতদেহ সৎকারে নেই জেলায় জেলায় সমন্বিত কোন সৎকার টিম।
আজ দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে ময়মনসিংহে জেলা সহকারী জজ উমা দাসের স্বামী ডঃ দেবাশীষ দাস করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেলে তার সৎকারে কোন হিন্দু বা হিন্দু সংগঠন এগিয়ে আসেনি। এমনকি তারা আত্মীয়স্বজনরাও নয়। একাই উনার স্বামীকে সৎকার করেন। বিষয়টি খুবই লজ্জার ! এ লজ্জা আমার, আপনার, সকলের। কাল যদি আমি মারা যাই – এ অবস্থা কি আমারো হবে? আমি যে মরে গিয়েও লজ্জা পাব! Covid-19 পজিটিভ ছিলেন কিন্তু দুঃখের বিষয় রেজাল্ট পাওয়ার ঘন্টা দুই আগেই ডাঃ দেবাশিষ দাস মৃত্যু বরন করেন। কাঠি হাতে একটা ছবি পোষ্ট করে অনেকে কান্নাকাটি করে দ্বায়িত্ব শীলতার পরিচয় দিয়ে মানবিক হচ্ছেন।
এখনো সময় আছে সকল সনাতনীরা একঝোট হয়ে অন্তত শশ্মান বন্ধু হওয়ার। পরিশেষে বলবো মৃত্যু সবার হবে কারো আগে কারো পরে। আমরা কি পারি না শেষ বিদায়ের শ্মশান বন্ধু হতে( ওঁ দিব্যান্ লোকান্ স্বঃগচ্ছতু,) ঈশ্বর যেন স্বর্গবাসী করে, জয় শ্রী রাম।
শ্রী অরবিন্দু রায় বলেন ০৮/০৬/২০২০।শোকসন্তপ্ত দিদির প্রতি সমবেদনা জানাই।হে ঈশ্বর তুমি আমাদের সনাতন ধর্মাবলম্বী (হিন্দুদের) সতবুদ্ধি দাও প্রভু।একে অপরের বিপদে এগিয়ে আসার শক্তি যোগাও প্রভু।