স্টাফ রিপোর্টার/কুয়াদা (যশোর) প্রতিনিধি ॥ যশোর সদরের কামালপুর-খরিচাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামতের প্রাপ্ত বরাদ্দ যথাপোযুক্তভাবে ব্যবহার না করার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় গত রবিবার কামালপুর গ্রামের হাফিজ হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহিম হাওলাদার সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদন দাখিল করেছেন।
সূত্রমতে, উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের কামালপুর-খরিচাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদ্র মেরামত বাবদ ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। উক্ত বিদ্যালয়ের আলোচিত সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এবং একই গ্রামের বাসিন্দা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী উভয়ে বিদ্যালয়ের প্রায় ৬০ বছরের বাজেয়াপ্ত পুরাতন ভবনের ইট দ্বারা প্রাচীর নির্মাণের কাজ করেন। যা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য মারাত্বক ঝুঁকিপূর্ণ। উক্ত প্রাচীর যেকোন সময়ে ধষে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ব্যবহৃত ষ্টিলের আলমারিটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহার না করে প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী তার নিজ বাসায় ব্যবহার করছেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানের আসবাবপত্র নিজ বাসায় ব্যবহার কোন শিক্ষকের কাম্য হতে পারে না। ফলে ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দকৃত অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এলাকায় আরো নানাবিধ অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে ওয়ার্ড আ’লীগের সম্পাদক ও বিদ্যালয়ের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন’র সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি। তবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইউনুচ আলী বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতের কাজ করতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হওয়ায় আমি আলমারিটি নিজ বাসায় নিয়ে যায়। এব্যপারে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র মেরামতের অর্থ যথাযথভাবে ব্যবহার না করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্তপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।