শার্শায় সপ্তাহের ব্যবধানে তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের দাম

0
231
জাসিম উদ্দীন, শার্শা প্রতিনিধি : গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে যশোরের শার্শা উপজেলার বাজার গুলোতে তিনগুন বৃদ্ধি পেয়েছে কাঁচা মরিচের দাম।  গত সপ্তাহে যে মরিচ খুঁচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৩০-৪০ টাকা কেজি, চলতি সপ্তাহে তা পাইকারিতে বিক্রি হয়েছে ১শত ১০ থেকে ১শত ২০ টাকায়। এছাড়া সবজি, মাছ-মাংস ও ডিম গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
শার্শার নাভারণ, বাগআঁচড়া, বেনাপোল কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। বাজারে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত সপ্তাহের সোমবার পর্যন্ত কাঁচা মরিচের দাম ছিল ৩০ টাকা থেকে ৪০ টাকা কেজি। যা গত বৃহস্পতিবার থেকে বেড়ে বিক্রি হয় ১শ ১০ থেকে ১শ ২০ টাকা কেজি।
নাভারণ বাজারের পাইকারি  বিক্রেতা সলেমান মন্ডল ও আলাল উদ্দিন বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে মরিচের অনেক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া বাজারেও সরবরাহ অনেক কমে গেছে।
অন্যান্য পাইকাররা বলছেন, বেশি দাম দিয়ে কাঁচা মরিচ আনতে হচ্ছে। যার কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে আমাদের মতো খুঁচরা বিক্রেতারাও পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে বেশি দামে এনে বেশি দামে বিক্রি করছে। এজন্য বাজারে একটু দাম বেশি।
এদিন বাজার গুলোতে সব ধরনের সবজি গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। বাজার ঘুরে ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার পটোল বিক্রি হয়েছে ৪০-৫০ টাকা কেজি, করলা ৫৫-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৪৫-৫০ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা কেজি।
এছাড়া ঢেঁড়স বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা, বরবটি ৬০-৭০ টাকা কেজি, শসা বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। এ দিন গত সপ্তাহের মতো বাড়তি দামেই দেশি রসুন বিক্রি হয়েছে ১১০-১২০ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগে ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়। চীনা আদা বিক্রি হয়েছে ১৪০-১৪৫ টাকা এবং দেশি আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০-২০০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়। চিনি বিক্রি হয়েছে ৫৫-৬০ টাকা কেজি। ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হয়েছে ৮০-৮২ টাকা। গত সপ্তাহের মতো শুক্রবার সব ধরনের মাছ চড়া দামে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫২০-৫৪০ টাকা, খাসি ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। আকারভেদে কক মুরগি প্রতিটি ১৯০-২৮০ টাকা, দেশি মুরগি প্রতি পিস ৩৫০-৪৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বাজারে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১০-১১৫ টাকায়।
বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আজিজুল ইসলাম বলেন, বাজারে সব পণ্যের দাম বেশি। কয়েক সপ্তাহ ধরে পণ্যের দাম কমছে না। নতুন করে আবার কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। বাজার তদারকি সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে বিশেষভাবে নজরদারি করতে হবে। না হলে নিম্ন আয়ের  মানুষের চাপা কষ্ট চাপাই পড়ে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here