মণিরামপুরে ব্যাংকার ও ব্যবসায়ী করোনায় আক্রান্ত

0
331

মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : হঠাৎ করেই যশোরের মণিরামপুরে বাড়তে শুরু করেছে করোনা রোগীর সংখ্যা। প্রায় প্রতিদিনই উপজেলার কোন না কোন এলাকায় করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার খবর আসছে। বুধবার (১ জুলাই) নতুন দুই জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাদের একজন সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা এবং অপরজন ব্যবসায়ী। এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জুন) একসাথে সাতজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। এই নিয়ে মণিরামপুরে করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৩১। াক্রান্ত ব্যাংকারের বাড়ি উপজেলার বাসুদেবপুর মাঠপাড়ায় গ্রামে। তিনি ঝিকরগাছা সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা। আরক ব্যবসায়ীর বাড়ি পৌরএলাকার বিজয়রামপুরের বাঁধাঘাটায়। তিনি মণিরামপুর বাজারের মোল্লা হার্ডওয়ারের মালিক। ণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ডা. শুভ্রা বলেন, গত সোমবার (২৯ জুন) জ্বর ও কাঁশি নিয়ে ঝিকরগাছা হাসপাতালে নমুনা দেন ব্যাংকার আরশাদ আলী। একই দিনে একই উপসর্গ নিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে নমুনা দেন মণিরামপুর পৌরসভার কাউন্সিলর বসু মোল্লার বড় ছেলে রফিকুল ইসলাম রফিক। আজ (১ জুলাই) সকালে যশোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তাদের করোনা পজেটিভ তথ্য জানানো হয়।
রিপোর্ট আসার পর থেকে আক্রান্ত দুই জনই নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন বলে জানান ডা. শুভ্রা। ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম গত আটদিন আগে জ¦র ও কাঁশিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত পাঁচ দিন ধরে তার জ্বর বা কাঁশি কোনটাই নেই। তবে তিনি পুরনো এজমার রোগী, এমনটি জানিয়েছেন তার ছোটভাই মণিরামপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি আরিফুল ইসলাম। আরিফুল ইসলাম বলেন, ভাই সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তারপরও সতর্কতার জন্য রিপোর্ট আসার পর থেকে তিনিসহ আমরা পরিবারের সবাই কোয়ারেন্টাই আছি। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. অনুপ বসু বলেন, আক্রান্ত ব্যাংকারের সাথে কথা হয়েছে। তার শরীরে এখন জ¦র নেই। হালকা কাঁশি আছে। আক্রান্ত দুইজনকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, বুধবার পর্যন্ত মণিরামপুর হাসপাতাল থেকে ২৭৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া উপজেলার অনেকেই যশোর সদর হাসপাতাল, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন। তারমধ্যে মণিরামপুরে মোট ৩১ জনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে। যাদের ১৩ জন সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরেছেন। মণিরামপুরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, খবর আসা মাত্রই নতুন আক্রান্ত দুই জনের বাড়ি লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here