চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি : যশোরের চৌগাছায় নিম্নমানের ইট, খোয়ার সাথে বালুর পরিবর্তে মাটি দিয়ে রাস্তা পাকা করার অভিযোগ উঠেছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেও কোনো লাভ হয়নি বলে এলাকা বাসির অভিযোগ।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক একটি রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালি নেতার আত্মীয় এমন কথা বলে কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করেই নিজের খেয়াল খুশিমতো কাজ করছেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলার চৌগাছা ইউনিয়নের কড়ইতলা-কয়ারপাড়া ইটের রাস্তা পুনরায় পাকা করার কাজে এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। চৌগাছা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা সোহাগ হোসেন, হিরো আহমেদ, ফারুখ হোসেন বলেন, মানীয়ণ প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনা গ্রাম হবে শহর। সে অনুযায়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কের কাজ চলছে। কিন্তু এইসব রাস্তা পাকাকরণের কাজে শুরু থেকেই অনেক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। রাস্তার কাজে নি¤œমানের ইট, খোয়ার সাথে বালু ব্যবহারের পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মাটি ছিটিয়ে লেবেল করার চেষ্টা চলছে। আমরা এর প্রতিবাদ করেছি এবং করছি।
স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতা বিএম উজ্জল হোসেন বলেন, ‘ইট, বালু, খোয়া কোনোটাই ঠিক নাই। যে পরিমাণ খোয়া ব্যবহার করার কথা, তার চেয়ে অনেক কম দেওয়া হচ্ছে। খোয়া দেওয়া হচ্ছে নিম্নমানের। বালুও নিম্নমানের। রাস্তার দুই পাশে প্রথম শ্রেণির ইট দিয়ে রেইজিং করার কথা থাকলেও করা হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণির ও কোথাও কোথাও দ্বিতীয় শ্রেণির ইট দিয়ে।
স্থানীয় কয়েকজন চা দোকানদার জানান, কাজটি একেবারেই জঘন্য হচ্ছে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের কোনো লোকজকে রাস্তা নির্মান কাজ দেখার জন্য কোনোদিনই কাউকে আসতে দেখিনি তারা। স্থানীয়রা আরো জাজান, উপজেলা প্রকৌশলিকে ফোনে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। বরং উল্টো যারা অভিযোগ করছে তাদেরই ধমক দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিক মঈনুল হাসান বাচ্চুর (০১৭৩৩১৫১১৭০) মোবাইলে অনেক বার ফোন করেও তিনি রিসিভ করেননি। প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার আবুল কাশেমের দাবী তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ঠিক নয়। তারা নিয়ম মতো কাজ করছেন। ভালোভাবে কাজ করার জন্য তাঁর কড়া নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, তাদের লোক নিয়মিত কাজ তদারকি করছেন। আমরা অনিয়মের কোন অভিযোগ পাইনি। আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম খোয়ার সাথে মাটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমি খোজ নিয়ে দেখছি। প্রমান পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কত কিলোমিটার রাস্তার কাজ হচ্ছে এবং বরাদ্দের পরিমান জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।