ভোমরা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : করোনা ভাইরাসের মহাদূর্যোগপ্রবণ মূহুর্তে থেমে নেই সাতক্ষীরার লক্ষীদাঁড়ী সীমান্তে গড়ে উঠা আন্তর্জাতিক চোরাচালান সি-িকেটের চিহিৃত টপটেরর ও শীর্ষ চোরাচালানি নাটা এবাদুলের রাষ্ট্রদ্রোহী কার্যক্রমসহ দেশীয় সম্পদ পাচারের জঘন্য অপরাধ। দুর্ধর্ষ নাটা এবাদুলের খুঁটির জোর ও নেপথ্যে ইন্ধন দাতা কারা ? এমন অজস্র অভিযোগ উঠে এসেছে সীমান্তবর্তী বসবাসকারী লোকজনদের নিকট থেকে । সীমাহীন অপরাধের দায়ভার কাঁধে নিয়ে বহালতবিয়তে তার অপকর্ম চালিয়ে গেলেও সীমান্ত প্রশাসন ঠুটো জগন্নাথের নীরব ভুমিকা পালন করছে বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।মোটা অংকের বিনিময়ে ভারর্তীয় নাগরীক (এনআরসি) অন্তভুক্ত নামক নারী, পুরুষ ও শিশু পাঁচার, ভারর্তীয় বিএসএফ এর ঠেলে দেওয়া মধ্যবয়সি ও যুবতী নারীদের উপর শারিরীক নির্যাতন, নিযাতিত নারীদের কাছ থেকে সর্বস্ব লুঠ, বিজিপির সোর্স সেজে চোরাচালানিদের কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনতাই, লক্ষীদাঁড়ী সীমান্তে কালো টাকার প্রভাবে একাধিক নারী ধর্ষণ, বিশাল মাদকের চালান পাচার ও রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য পাচারসহ বহু অপরাধের অভিযোগ উঠে এসেছে এই কুখ্যাত নাটা এবাদুলের বিরুদ্ধে।
গতকাল শনিবার (০৪ঠা জুলাই ২০২০) সরজমিনে লক্ষীদাঁড়ী সীমান্তে যেয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের নিকট থেকে জানা যায়, ভোর রাতে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ তাদের এনআরসি অন্তভূক্ত দেখিয়ে প্রায় ২০-২৫জন মুসলিম নারী,পুরুষ ও শিশুকে লক্ষীদাঁড়ী সীমান্তে ঠেলে দিলে ওৎ পেতে বসে থাকা নারী ধর্ষক নাটা এবাদুল ও তার সহযোগী বহুদিনের তালিকাভুক্ত মানবপাচার কারী দালাল রশিদ তাদেরকে নোম্যান্স ল্যান্ডের বাগানের ভিতরে প্রশাসনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের গচ্ছিত সর্বস্ব লুঠে নিয়ে ছেড়ে দেয়। পরে এসব নির্যাতিত ও সর্বস¦ হারানো নারী, পুরুষ ও শিশুরা জীবন বাচানোর ভয়ে ভোমরা স্থল-বন্দর থেকে বিভিন্ন যানবহনে তাদের স্ব-স্ব এলাকায় চলে যায়। এছাড়া রাতের আধারে মদ্য পানে আসক্ত হয়ে আকর্ষিকভাবে এলাকার সুন্দরী গূহবধুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগে আরো জানা যায়, গাজিপুর সীমান্তের ঘাট মালিক আব্দুল হকের পুত্র হোসেনের বড় আকারের মাদকের চালান ভারত থেকে পাঁচার করে নিয়ে এসে ভোমরা সাতক্ষীরা সড়কের নবাদকাঁটি এলাকা ও মন্টুর বাগানবাড়ী সংলগ্ন রাস্তার পাশ্ববর্তী গোপন আস্তানায় পৌছে দেয়। এমনিভাবে এই কুখ্যাত চোরাচালানি এবাদুল দিনের পর দিন অব্যাহত রেখেছে তার অবৈধ ব্যবসা। এব্যাপারে এলাকার সচেতনমহল প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।