ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে শার্শার ডিহি শালকোনার মেম্বর ফেন্সিডিল মামলার আসামী

0
290

মালেকুজ্জামান কাকা, যশোর : ইউপি চেয়ারম্যানের রোষানলে পড়ে যশোরের শার্শা উপজেলায় একই পরিষদের একজন মেম্বর বিজিবি’র চোরা চালান মাদকদ্রব্য মামলার আসামী হয়েছেন। ঘটনাটি ১নং ডিহি ইউনিয়ন পরিষদে। সেখানে বর্তমান ৮নং শালকোনা ওয়ার্ডের মেম্বর তরিকুল ইসলাম তোতা মামলায় ২নং আসামি করা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি ঐ এলাকায় পঙ্গু করতেই ইউপি চেয়ারম্যান বিজিবির শালকোনা ক্যাম্পকে ব্যবহার করে মামলাটি দায়ের করেছে। মামলা নম্বর -৮/১৭৪, তাং-০৭/০৭/২০২০। জিআর ১৭৪/২০২০। মামলার এজাহারে দেখা যায় ৩৬(১) এর ১৪ (গ) মাদদদ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইন ২০১৮ অবৈধ মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল ক্রয় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ হেফাদজদতে রাখার অপরাধ। উদ্ধার ৩৯২ বোতল ফেন্সিডিল যার মূল্য ১,৫৬,০০০ টাকা। মামলার আসামি তিনজন। ১. ফুলছদ্দিন খাঁ (৪৫), পিতা- সুলতান খাঁ, সাং-পাকশিয়া (খাল পাড়া) ২. তরিকুল ইসলাম তোতা (বর্তমান মেম্বর (৪৭) পিতা- মৃত সাইফুল ইসলাম শালকোনা পূর্ব পাড়া ৩. তরিকুল ইসলাম (৩৭), পিতা- মৃত আ: আজিজ, গ্রাম-শালকোনা, সর্ব থানা শার্শা, জেলা যশোর। মামলার বাদি হলেন মো: আমজাদ হোসেন, হাবি: নম্বর -৫৪৪১৯, ৪৯/বি কোম্পানী শালকোনা বিওপি। শার্শা থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) বদরুল আলম খান, বিপি- ৬৭৯৫০০৮১০৪ মামলাটি রজ্জু করেছেন। বাদি এজাহারে উল্লেখ করেছেন ৭ জুলাই ভোর ৪টা ৪০ মি: এর সময় টহল চলাকালীন সময়ে বিজিবি’র টহল দল দেখতে পায় ক্যাম্পের আওতাধীন এলাকার মাজার রোড কাঁচা রাস্তার উপর মেইন পিলার ৩০ এর সাব পিলার ০১ হইতে ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তিনজন লোক প্লাস্টিকের সাদা ব্যাগ মাথায় করে হেটে আসছে। বিজিবি টহল সদস্যদের দেখতে পেয়ে ব্যাগ ফেলে পালায়। বিজিবির সদস্যরা স্পষ্ট দেখতে পায় উল্লেখিত তিনজন পালিয়ে গেছে। মামলার স্বাক্ষীরা হলেন ১. নায়েব মো: হাতেম কাজী, নং ৬৪৪৮৭৪ ও নায়েক সিগ: মো: সাইফুল ইসলাম নং ৬৫২৫৩। স্থানীয়রা জানান, মামলার ১ ও ৩ নং আসামি চিহ্নিত মাদক কারবারি। কিন্ত ২নং আসামি কে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে এ মামলায় ফাসানো হয়েছে। তার জনপ্রিয়তায় ভীত সন্ত্রস্থ হয়ে ১নং ডিহি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বিজিবির শালকোনা বিওপি ক্যাম্প কে ব্যবহার করছে। চেয়ারম্যান নিয়মিত ঐ ক্যাম্পে দীর্ঘ সময় সময় কাটায় ও খোশ গল্পে মেতে থাকে। সাধারন মানুষের প্রশ্ন ইউপি চেয়ারম্যান কি কারনে প্রতিদিন বিজিবি ক্যাম্পে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটান। তাছাড়া বর্তমান মেম্বর কি কখনো নিজে মাথায় করে ফেন্সিডিল মাদকদ্রব্য জন হয়ে টানবে। তার কি নিজ গ্রামে মানুষ জনের অভাব আছে। সে বললেই তো ২০-৫০ জন তার কাজ করে দেবে। তাছাড়া বর্তমান সময়ে ভোর ৪টা ৪০ মিনিট মানে বেশ অন্ধকার। যদি এত কাছাকাছি টহল টিম থাকবে তাহলে তাদের এড়িয়ে কি করে মাদক ব্যবসায়িরা পালিয়ে যাবে। তাহলে বাস্তবতা এটাই যে, বেশ দূরে ছিল মাদক ব্যবসায়িরা। আর বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা কাছের মালামাল রেখে দৌড়ে পালাতে সক্ষম হয়েছে। এক্ষেত্রে ১ ও ৩নং আসামিকে ধরে রিমান্ডে আনলেই ২নং আসামির নাম ঠিকানা বের হয়ে যাবে। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলার ২নং আসামি মেম্বর তরিকুল ইসলাম তোতা ইতোমধ্যে যশোরের বিজ্ঞ আদালত হতে জামিন গ্রহন করেছেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here