স্কুল-কলেজ খুলতে এবং এইচএসসি পরীক্ষা বিষয়ে শিক্ষা ফাউন্ডেশনের ১৫ দফা সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরন

0
222

শিক্ষা প্রতিবেদক : করোনা মহাদূর্যোগে বিগত ১৭ মার্চ-২০২০ হতে অদ্যবধি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশক্রমে দেশব্যাপী সকল ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয়/বিভাগের নির্দেশে বন্ধ রয়েছে। বিষয়টি ৫ মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত স্বাভাবিক হচ্ছে। অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণও আকাংখা করছেন দ্রুত প্রতিষ্ঠান খোলার আদেশ জারি করা হোক। শিক্ষার্থীদের পড়াশুনারও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এহেন অবস্থায় বিশেষ পদ্ধতিতে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা ও স্বল্প পরিষরে শ্রেণী কার্যক্রম পরিচালনা বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ১৫ দফা প্রস্তাবনা/পরামর্শ প্রেরন করেছে শিক্ষাতথ্য ও গবেষনা প্রতিষ্ঠান ডা. আবুল কাশেম শিক্ষা ফাউন্ডেশন । এবিষয়ে ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও গবেষণা প্রধান এবং শিক্ষা কর্মকর্তা বিশ্বাস মোহাম্ম্দ ওয়াহিদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরী ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব এবং প্রাধমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের সচিব জনাব আকরাম আল হোসেন সমীপে ডাকযোগে এবং ই-মেইলে ১৫ টি প্রস্তাবন্ পাঠানো হয়েছে এবং ফোনে আলাপও করা হয়েছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসক যশোর সমীপে এর কপি সরাসরি জমা দেওয়া হয়েছে। এগুলি পরিপালন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁরা । প্রস্তাবগুলির মধ্যে অন্যতম হচ্ছে —প্রস্তাবনা-১: জোড় রোল নম্বরধারী যথা ২/৪/৬/৮/১০ এর ছাত্রছাত্রীরা শনি,সোম ও বুধবারে প্রতিষ্ঠানে কাসে আসবেন। অপরদিকে বিজোড় রোল নম্বরধারী যথা ১/৩/৫/৭/৯ এর ছাত্রছাত্রীরা রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে প্রতিষ্ঠানে কাসে আসবেন। এতে কাসে ভীড় কম হবে । ফাঁকা ফাঁকা বসে কাস করে তারা বাড়ী ফিরবেন। প্রস্তাবনা-২ : শনি সোম ও বুধবারে ছাত্ররা কাসে আসবেন, ছাত্রীরা আসবেন রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে। এতে কাসে ভীড় কম হবে। শারিরীক দুরত্ব বা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর উচ্চারিত/আবিস্কৃত সামাজিক দুরত্ব মেনটেইন করা সম্ভব হবে। এছাড়াও স্থগিত হয়ে থাকা এইচএসসি/আলিম/সমমান পরীক্ষা গ্রহন বিষয়েও ৮ টি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ । এর মধ্যে সকাল শিফটে কম পরীক্ষার্থী হিসেবে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য এবং বিকাল শিফটে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাগ্রহন অন্যতম। উল্লেখ্য ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৮ সাল হতেই বিভিন্ন ইস্যতে শিক্ষাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে সংস্কার প্রস্তাব ও উন্নয়নসূচক সুপারিশ পাঠিয়ে থাকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here