নিজস্ব প্রতিবেদক কুষ্টিয়াঃ কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় জুয়া (কেরাম) খেলাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত আটজন। আহতদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ মে) রাত সাড়ে ৯টায় সদর উপজেলার হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের ভূতপাড়া এলাকায় ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- ওই এলাকার মৃত ভাষান কেদির ছেলে কৃষক ওমর আলী (৬৫) ও একই এলাকার শুকলাল মিয়ার ছেলে ফেরিওয়ালা ব্যবসায়ী মিরাজ হোসেন (৫০)। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, হাটশ-হরিপুর ইউনিয়নের ভূতপাড়া মোড়ে স্থানীয় বাসিন্দা নান্নু মিয়ার ছেলে আরিফের চায়ের দোকানে নিয়মিত কেরাম বোর্ডে জুয়ার আসর বসে। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে জুয়া খেলা করে আসছে বিভিন্ন বয়সী যুবকরা। এতে খেলায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটে টাকা হার-জিতের ঘটনা। এখানে এই নিয়ে প্রায় ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা। নিহত ওমর আলী ও মিরাজ হোসেনের ছেলেরাও ওই চায়ের দোকানে জুয়া খেলে মোটা অঙ্কের টাকা হেরে যায়। এই নিয়ে শুক্রবার (১৯ মে) রাত ৯টার দিকে আরিফের চায়ের দোকানে গিয়ে চড়াও হন। এতে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে হাতাহাতি, ধাক্কাধাক্কি এবং সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুইপক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষ চলাকালে মাথায় লাঠির আঘাত খেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন ওমর আলী। এসময় বুকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন মিরাজ হোসেন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে, কর্তব্যরত চিকিৎসক ওমর আলী ও মিরাজ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে এই নিয়ে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে ওই গ্রামে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম মুশতাক হোসেন মাসুদ বলেন, হঠাৎ করে কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। তবে তাদের মধ্যে কোনো পূর্ব শত্রুতা ছিল না। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাৎ হোসেন জানান, জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে দুজন নিহতের খবর পেয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জড়িত সন্দেহে ঘটনাস্থল থেকে ৭ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।