মালেকুজ্জামান কাকা, যশোর : যশোর জেলার আট পৌরসভার ১৬,৮০০ পরিবার পেয়েছে রেশন কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যমে একটি পরিবার মাসে দুইবার ১০ টাকা মূল্যের ২০ কেজি চাল কিনতে পারবে। এজন্য ৩১৮ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এ কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। রেশন কার্ড দিয়ে প্রথম দিনে কার্ডধারী অনেকেই পন্য ক্রয় করেছেন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় যশোর জেলার আট পৌরসভার ১৬,৮০০ পরিবার পাবে রেশন কার্ড। এ কার্ডে একটি পরিবার মাসে দুইবার ১০ টাকা মূল্যের ২০ কেজি চাল কিনতে পারবে।
এজন্য ৩১৮ মেট্রিকটন চাল মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা। ইতোমধ্যে এ কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে।
সরকারের চলমান বিসিএফ ও ভিজিডি কার্ডপ্রাপ্তদের বাইরে নতুন এ পরিবারগুলো কার্ড পাবে। এ কাডের নাম দেয়া হয়েছে রেশন কার্ড। এ কার্ডের মাধ্যমে একটি অসহায় পরিবার ১০ টাকা দরে মাসে ২০ কেজি চাল ক্রয় করতে পারবে। জেলার ৮ পৌরসভায় ১০,৮০০ পরিবার ক্রয় করতে পারবে ৩১৮ মেট্রিকটন চাল।
এর মধ্যে যশোর পৌরসভায় ৬ হাজার পরিবার কিনতে পারবে ১২০ মেট্রিক টন চাল। কেশবপুর, মনিরামপুর, নওয়াপাড়া বেনাপোল পৌরসভার ৭,২০০ পরিবার কিনতে পারবে ১৪৪ মেট্রিকটন চাল। চৌগাছা, ঝিকরগাছা ও বাঘারপাড়া পৌরসভায় ৩,৬০০ পরিবার কিনতে পারবে ৭২ মেট্রিকটন চাল। যশোর পৌরসভায় চারটি স্পটে চাল বিক্রি করা হবে।
সচিব আজমল হোসেন জানান, যশোর পৌর এলাকায় যারা রেশন কার্ড পাওয়ার যোগ্য তাদেরকেই এ কার্ড দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে যশোর পৌরসভায় রেশন কার্ড বিতরণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার এই রেশন কার্ড দিয়ে অনেকেই পন্য কিনেছেন বলে তারা জানতে পেরেছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা লিয়াকত আলী জানান, আট পৌরসভা থেকে রেশন কার্ডের তালিকা দেয়ার পর ডিলারদের ডেকে চাল বিক্রি করা হবে ট্রেজারি থেকে। কোনো ডিলার চাল বিক্রিতে ওজনে কম দিলে বা অনিয়ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।