যশোর ডেস্ক : মহামারি করোনার টিকা আবিষ্কারে কাজ করছে জার্মানির কয়েকটি জৈববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সব কিছু ঠিক থাকলে বছর শেষে সাধারণ জনগণের কাছে পৌঁছে যাবে এ টিকা।
এ মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মহামারির নাম কোভিড নাইনটিন। এই ভাইরাসের প্রতিষেধক না থাকার কারণে গত কয়েক সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্বব্যাপী মৃত্যু হয়েছে ১ লাথ ৯০ হাজার ৬৫৬ জন মানুষের।
এমন পরিস্থিতিতে করোনার টিকা তৈরিতে আশার আলো হয়ে লক্ষ কোটি মানুষের জীবন বাঁচানোর স্বপ্ন দেখাচ্ছে জার্মানির চিকিৎসা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান কিউরভ্যাক ও পাউল এয়ারলিশ ইনস্টিটিউটের বিয়নটেক।
পিএআই-এর সভাপতি ক্লাউস চিচ্যুট বলেন, টিকা তৈরির কাজ খুব জোরেসোরেই চলছে, যাতে এই বছরেই মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া যায়, ইতোমধ্যে প্রাণীর দেহে প্রতিষেধকের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের শেষেই কমপক্ষে ২০০ মানুষের শরীরে পরীক্ষা চালানো হবে।
অন্যদিকে জার্মানির আরেক প্রতিষ্ঠান টুইবিঙ্গার ফার্মাসিউটিক্যালসের কিউরভ্যাকের চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা আগামী জুন কিংবা জুলাইয়ে টিকা আবিষ্কার সম্ভব হবে। আর শরৎকালের আগেই সম্পন্ন করা যাবে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
এ প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারী জার্মান বুন্ডেসলীগার শীর্ষ স্থানীয় ফুটবল দল টিএসজি হফেনহাইমের কর্ণধার ডিটমার হপ বলেন, করোনার টিকা আবিষ্কারে জার্মান বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জার্মান সরকার টিকা তৈরির প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইতোমধ্যে অর্থ সাহায্যও দিয়েছে।
করোনায় জার্মানিতে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৫৩ হাজার ১২৯ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৫৭৫ জনের।