চুকনগর প্রতিনিধি ॥ মাগুরাঘোনায় এক কৃষকের কাটা ধান জোর পূর্বক জমি তুলে নিয়ে গেল দূবৃর্ত্তরা। রবিবার সকালে তার পৈত্রিক জমিতে লাগানো কাটা ধান তুলে নিয়ে গেছে তারা। এঘটনা ইতোপূর্বে তিনি উক্ত প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগও করেছিলেন।
ডুমুরিয়া উপজেলার বাদুড়িয়া গ্রামের মৃত আফতাব আলী বিশ্বাসের পুত্র মোক্তার আলী বিশ্বাস প্রাপ্ত অভিযোগে উল্লেখ করেন, যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মৃত ওমর আলী গাজীর পুত্র মোঃ আব্দুস সবুর গাজী ও তার পুত্র রবিউল ইসলাম গাজী দীর্ঘদিন যাবৎ তার পৈত্রিক সম্পত্তি ৯৪নং রামকৃষ্ণপুর মৌজায়, যার খতিয়ান নংÑ২৩, হাল দাগ-৬৮৪এর ১৮শতক জমি জোর পূর্বক জোরপূর্বক দখলের পায়তারা করে আসছে। এ উদ্দেশ্য সফলের জন্য গত ১৪/০১/১৯ইং তারিখ বিকাল ৫টার দিকে তাদের চাষ করা জমিতে জোর পূর্বক ধানের চারা রোপন করতে থাকে। কিন্তু বাদী ও তার পুত্র ইকরামুল হোসেন তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী দিয়ে চলে যায়। এঘটনায় পরবর্তীতে যাতে বিবাদীরা তাদের জমি দখলের চেষ্টা করতে না পারে এই মর্মে তিনি কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন (কেশবপুর থানায় অভিযোগের কারণ জমিটি কেশবপুর মৌজায়)। কিন্তু বিবাদীরা সেখানে উপস্থিত হয়নি। গত ০১/০৫/২০২০ইং তারিখে মোক্তার আলী তার জমির ধান কেটে রেখে আসে। রবিবার সকালে ধান আটি বেঁধে বাড়ি আনতে গেলে বিবাদী আব্দুস সবুর গাজী ও তার পুত্র রবিউল ইসলাম গাজীর নেতৃত্বে প্রায় ২৫/৩০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোর পুর্বক জমির প্রায় অর্ধেক ধান তুলে নিয়ে চলে যায়। এব্যাপারে বাদী মোক্তার আলী জানায়, আব্দুস সবুর গাজী ও তার পুত্র রবিউল ইসলাম গাজী তার পৈত্রিক সম্পত্তিকে বন্দকী জমি দাবি করে। কিন্তু জমিটি তারা কার কাছ থেকে বন্দক রেখেছে বা অদ্যবধি কোন কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। তিনি আরও জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে তিনি মামলা করতে পারছেন না। তবে অনতিবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা সহ তিপূরণ দাবি করে সকল ধরণের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বিবাদী রবিউল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়া মাত্রই রং নম্বর বলে তিনি কলটি কেটে দেন।