নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোর-মণিরামপুর সড়কের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামের সাতমাইলে যানবাহনে গণডাকাতি মামলায় ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে ডিবি পুলিশ। ডাকাতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ না পাওয়ায় আটক ওয়াহিদুজ্জামান বাবুর অব্যতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক শামীম হোসেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলো খুলনা ডুমুরিয়ার চাকুন্দিয়ার শতওক গাজীর ছেলে শাহিনুর রহমান গাজী, আনছার আলী শেখের ছেলে বাবর আলী শেখ, আশরাফ শেখের ছেলে হাবিবুর রহমান হবি, চুকনগর পুঠিমারি মৃত খোকাপদ দাসের ছেলে ধনি দাস, চুকনগর দক্ষিনপাড়ার কাদের আলী গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম, বেতা গ্রামের মোজাহার আলীর ছেলে আজিবর গাজী, পাকইগাছার গোপালপুর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমান গাজী ওরফে কামরুল, যশোর সদরের সিরাজসিংহা গ্রামের হারুন বিশ্বাসের ছেলে আসলাম বিশ্বাস, মণিরামপুরের মথুরাপুর গ্রারেম আকবর আলী বিশ্বাসের ছেলে আলম বিশ্বাস, আলাউদ্দিন গাজীর ছেলে মিজানুর রহমান মিন্টু ও ইত্যা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম। মামলার অভিযোগে জানা গেছে, যশোর শহরের বারান্দী-মোল্লাপাড়ার ভাড়া বাসিন্দা বাবুল হোসেন ট্রাক চালিয়ে জীবীকা নির্বাহ করেন। ২০১৯ সালের ১ মে তিনি বগুড়া থেকে ট্রাকে ফার্নিচার নিয়ে সাতক্ষীরার তালা থানার ঘেটুয়া বাজারে যান। পরদিন গভীর রাতে যশোর আসার সময় মণিরামপুর সড়কের বাজুয়াডাঙ্গা সাতমাইলে এসে পৌছালে ডাকাতরা পাশের একটি গাছ কেটে রাস্থা ফেলে গতিরোধ করে ট্রাক চালকের। এরমধ্যে রাস্তার পাশ থেকে ১২/১৪ জন ডাকাত এসে তাকে ঘিরে ধরে। চালক বাবুল হোসেনকে মারপিট করে তার কাছে থাকা ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ডাকাতরা দুইদিক থেকে আসা বিভিন্ন যানবহনের চালকদের কাছ থেকে মোট ১ লাখ ৭২ হাজার ৫শ’ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ট্রাক চালক বাবুল হাসেন অপরিচিত ব্যক্তিদের আসামি করে কোতয়ালি থানায় ডাকাতি মামলা করেন।
এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও স্বাক্ষীদের বক্তব্যে ডাকাতিন সাথে জড়িত থাকায় ওই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের চার্ঝশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান হবিকে পলাতক দেখানো হয়েছে।