করোনার রেডজোনগুলি লকডাউন করাতে রাজধানীতে থেকে সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ছে সাধারন জনগণ। বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়াতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে সারা দেশে সংক্রমনের হার বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে ব্যপক হারে।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে সরকারের সাথে পুলিশও বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। সংক্রামন ঠেকাতে মানুষকে সচেতন করতে মাঠে পুলিশ প্রশাসন আগেই ছিল। কর্মহীন হয়ে পড়াতে রাজধানীথেকে আগত মানুষগুলিকে সরকার বাড়ীথাকার যে নির্দেশনা দিয়েছেন তা মানছেন না অনেকেই। বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি ও রাস্তার পাশে ভিড় করে আড্ডা মারতে দেখা যাচ্ছে। এই অবস্থায় করোনার সংক্রমন থেকে সাধারণ জনগণকে সচেতন করার লক্ষ্যে পুলিশ বাহিনী বিভিন্ন কার্যক্রমে নেমেছেন।
সামাজিক দুরত্ব নিশ্চিত করতে বিকাল ৪টার পর মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশ বাহিনী বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে টহল দিয়ে মানুষের জটলা থাকলে তাদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কঠোর ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। পুলিশ সুপার মোঃ আশরাফ হোসেনের নির্দেশনায় বিভিন্ন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণ এ ব্যাপারে সরেজমিনে কাজ করছেন এবং তারই নির্দেশনায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মিডিয়া সেল ও প্রচারণামূলক কাজ করছে। এছাড়াও যশোর জেলা পুলিশ প্রচারণার মাধ্যমেও জনগণকে ঘরে থাকতে উদ্ভুদ্ধ করছে। সোস্যাল মিডিয়ার প্রচারণা, ব্যানার, লিফলেট বিতরনসহ প্রামান্য চিত্র ও গান তৈরী করে সোস্যাল মিডিয়াতে প্রচার করা হচ্ছে।
জনগণের অভিমত পুলিশ ও প্রশাসন যদি এই জাতীয় কার্যক্রম আরও তরান্বিত করে তাহলে এই বৈশ্বিক মহামারী মোকাবেলায় যশোরকে নিরাপদ রাখা অনেকাংশে সম্ভব হবে ।