স্টাফ রিপোর্টার : যশোর সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের চলাচলের ঐতিহ্যবাহী রাস্তা সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আরবপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্যোগে আজ শনিবার দুপুরে বি – পতেঙ্গায়ালী গ্রামে শতশত নারী পুরুষেরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সদরের আরবপুর ইউনিয়নের চার গ্রামের বাসিন্দারা জানান, ইউনিয়ন অফিস রোডের প্রায় আড়াই কিলো মিটার (২৪৬০ মিটার)সলিং রাস্তা থেকে পাকা করনের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি যশোর । শত বছরের পুরাতন রাস্তাটি পাকা করনের কাজ শুরু হলে বি – পতেঙ্গায়ালীর অংশে স্হানীয় লক্ষণ মন্ডল এসে বাঁধা দেয় এবং নিজের জমি বলে দাবি করেন। রাস্তাটি তিনি দখলে নিয়ে ঘিরে দিয়ে রাস্তা পাকা করনের কাজে বাঁধা সৃষ্টি করেন। তিনি রাস্তার জায়গাটি নিজের বলে দাবি করছেন। বর্তমানে রাস্তা পাকা বা সংস্কারের কাজ বন্ধ রয়েছে এলাকায়। এর ফলে এলাকাবাসির দীর্ঘদিনের দাবি পাকা রাস্তা দিয়ে চলাচলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। আরবপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণবাটি পুলেরহাট ,বিপতেঙ্গায়ালি মাদিয়াসহ ৪ গ্রামের প্রায় ৪/৫ হাজার জনগনের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি হচ্ছে পুলেরহাট থেকে আরবপুর ইউনিয়ন অফিস পযন্ত। রাস্তা পাকা করনের কাজ বন্ধের কারনে হাজার হাজার নারী পুরুষেরা চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাস্তার সংস্কারের ঠিকাদারের কাছে গেলে তিনি জানান।,লক্ষণ মন্ডল দখল করে এ স্হানে গর্ত করে রেখেছে। এলাকাবাসী এ ব্যাপারে গণস্বাক্ষর করে নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি বরাবর অভিযোগ করেছেন লক্ষণ মন্ডলের বিরুদ্ধে । মানববন্ধনে সেচ্ছায় অংশ নিতে আসা আরবপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী সদস্য সালমা খাতুন বলেন, এলাকার জনগনের কাতারে দাড়িয়েছি। তাদের দাবি যুক্তিগত। এলাকায় কতিপয় ব্যক্তির কারনে আজ বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজ মাঝে মাঝে থমকে যাচ্ছে। এজন্য আজ প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় দাড়িয়েছি। এলাকারবাসির অন্যান্যদের উপস্হিত ছিলেন মানবাধিকার কর্মি ইবাদুল কবির, বর্তমান ইউপি সদস্য উজ্জ্বল হোসেন, সাবেক সদস্য আব্দুর করিম রাজু, ফিরোজ হোসেন, আলতাব হোসেন, নজরুল ইসলাম, ও লিয়াকত হোসেনসহ আরো অনেকে।
এব্যাপারে লক্ষণ মন্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, রাস্তা নির্মানে বাধা দেবো কেন, আমি শুধু বলেছি রাস্তাটি একটু অন্য সাইড দিয়ে ঘুরিয়ে দিতে। তিনি এলজিইডিতে এর প্রতিকার চেয়ে গেল নভেম্বর মাসে আবেদন করেছে। এব্যাপারে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মোঃ ইফতেকার আলী বলেন, এ রাস্তা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, ঠিকাদার কাজ বন্ধ রেখেছে। আমরা এসিল্যান্ডের কাছে চিঠি পাঠিয়েছি। তিনি সমাধানের চেষ্টা করছেন আশা রাখি সমাধান হবে।