দশমিনায় বাঁধ নির্মানে অনিশ্চয়তা ভারী বর্ষন ও জোয়ারের চাপে নদীর ভাঙন অব্যাহত

0
305
SAMSUNG CAMERA PICTURES

নাসির আহমেদ, দশমিনা (পটুয়াখালী) : পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় নদীর ভাঙনে উপজেলার ৬টি গ্রামের সড়কসহ বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। নদীর ভাঙনের ফলে বাঁশবাড়িয়া, ঢনঢনিয়া, হাজীরহাট, গোলখালী, কাঁটাখালী ও আরজবেগীর বিভিন্ন স্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে পূনরায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর ভাঙনের ফলে উপজেলার মানচিত্রই পাল্টে যাচ্ছে। উপজেলার এই ৭টি ইউনিয়নে নতুন করে নদীর ভাঙন দেখা দিয়েছে। এই ভাঙন অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা বিলীন হচ্ছে। উপজেলার বাঁশবাড়িয়া,ঢনঢনিয়া, হাজীরহাটের বিভিন্ন পয়েন্টে নদীর এই ভাঙন তীব্র আকার ধারন করেছে। উপজেলার প্রধান দুইটি নদী তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী এখন রাক্ষুসে রূপ নিয়েছে। ভাঙনের তীব্রতায় উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ঢনঢনিয়া এবং সদর ইউনিয়নের হাজীরহাট, গোলখালী, কাটাখালী, আরজবেগী গ্রাম এখন হুমকির মুখে রয়েছে। মাত্র এক দিনের ব্যবধানের মধ্যে ঢনঢনিয়া ও হাজীরহাট গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন কবলিত এলাকার তীর রক্ষা বাঁধ যে কোন মুহুর্তে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
নদীর ভাঙন রোধ কল্পে ইতিমধ্যে ব্লক নির্মানের কাজ করা হচ্ছে। তবে ভাঙন কবলিত হাজীরহাট ও ঢনঢনিয়া গ্রামের নদী তীরবর্তী এলাকায় কোন ব্লক নির্মান না করায় নদীর এই অংশে সব চাইতে বেশী মাত্রায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডেও নির্মানাধীন পোল্ডার নং-৫৫/২-এফ এর আওতাধীন মোট ৭৭৪১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মান করার পরিকল্পনা থাকলেও অনেকাংশে অপরিকল্পিতভাবে নির্মান করা হয়। বেড়িবাঁধ নির্মানে ১ শত ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও অধিকাংশ স্থানের বাঁধ খাল কিংবা পুকুর ও ডোবার পাশ দিয়ে নির্মান করায় তা ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে। ফলে স্থায়ী বেড়িবাঁধ আশানুরূপ হচ্ছে না। জন প্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি কোন কাজেই আসছে না।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here