সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা শহরে করোনা সনাক্তের পরেও বাড়িটি নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন না করায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। করোনা সনাক্তকারীর বাড়িতে বহিরাগত ব্যক্তি এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চলাফেরা করায় করোনা ছড়িয়ে পড়ার আতঙ্কে আছে এলাকার সাধারণ মানুষ। সাতক্ষীরা শহরের প্রাণ কেন্দ্র উত্তর পলাশপোল গ্রামের (এসপি বাংলোর পেছনে) মৃত খোদাবক্সের ছেলে নাছির উদ্দীনের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয় ১৯ জুন। একই দিন একই এলাকার কানা মাজেদের বাড়ির ভাড়াটিয়া পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ সনাক্ত হয়। একই এলাকায় ২ বাড়িতে করোনা সনাক্তের খরবটি স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হলে এলাকাবাসী ভীতু-সন্তস্ত্র হয়ে পড়ে। উত্তর পলাশপোল এলাকার মৃত খায়রুল ইসলামের ছেলে বাবু গাজী, মাঞ্জার আলী ছেলে টারজেন ও এনামুল জানায়, তাদের এলাকার কানা মাজেদের বাড়িটি লকডাউন করে লাল পতাকা উড়িয়ে লকডাউনের সাইনবোর্ড টানিয়ে দেওয়া হয়। অথছ নাসির উদ্দীনের বাড়িতে কোন লাল পতাকা বা সাইনবোর্ড দেওয়া হয়নি। এলাকার প্রভাবশালী ও বৃত্তশালী হওয়ায় বহিরাগত এবং না জানা ব্যক্তিরা হামেশায় বাড়িটিতে যাতায়াত করছে। বাড়ির সদস্যরা বাহিরে চলাফেরা ও হাট বাজার করে বেড়াচ্ছে। একই এলাকার একটি বাড়িতে লকডাউন ঘোষনা করে অন্য বাড়িটি না করায় প্রশাসন প্রশ্নবিত্ত হয়েছে। এলাকাবাসী ভিতু-সন্তস্ত্রভাবে চলাফেরা করছে।
এ বিষয়ে এই এলাকার পৌর কমিশনার সফিক-উদ-দৌলা সাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানায় আমি ঐ বাড়িতে বলে এসেছি এবং সিভিল সার্জন অফিসে পতাকা ও সাইনবোর্ড দিয়ে আসার কথাও বলেছি। সাতক্ষীরা সিভিল সার্জনের মুখপাত্র ডা. জয়ন্তের কাছে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন কেন পুলিশ লকডাউন করেনি? আমি দেখছি। ২০ জুন সাতক্ষীরা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে লকডাউন না করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন কেন লকডাউন হয়নি? আচ্ছা আমি দেখছি। এর পরেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাড়িটি লকডাউন করা হয়নি।