বৃত্তবানদের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আকুতি চৌগাছার পত্রিকা পরিবেশক শফির মেধাবী ছেলের পড়ালেখা নিয়ে অনিশ্চিত ভবিষ্যত

0
366

এম হাসান মাহমুদ চৌগাছা (যশোর) ॥ হতদরিদ্র ঘরে জন্ম নেয়া মেধাবী মুখ আরিফুজ্জামন ইমন (১৬)। পত্রিকা পরিবেশক শফিকুল ইসলাম শফির একমাত্র ছেলে সে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে পড়া নিয়ে শংসয় ছিল আগে থেকেই। সেই শংসয় আরও প্রকাট আকার ধারন করেছে সংসারের একমাত্র উপর্জনক্ষম পিতা সম্প্রতি ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হলে। পিতা শয্যাশয়ী হওয়াতে ছোট্ট ইমন ধরেছে সংসারের হাল। প্রতি নিয়ত তাকে অন্যের ক্ষেতে জোনে যেতে হচ্ছে। দিন শেষে যা আয় করছে, তাতেই চলছে ইমনদের সংসার। মেধাবী মুখ ইমন যদি কোন দানশীল ব্যক্তির সহযোগীতা পাই তাহলে মানুষের মত মানুষ হতে পারবে এমনটিই বলছেন এলাকাবাসি।
উপজেলার হুদাফতেপুর গ্রামের পত্রিকা পরিবেশক শফিকুল ইসলাম শফির একমাত্র ছেলে আরিফুজ্জামান ইমন। সরকার থেকে দেয়া টিনসেটের ছোট্ট ঘরে মা বাবা আর ছোট বোনকে নিয়ে ইমনের বসবাস। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় স্থানীয় গরীবপুর আদর্শ বিদ্যাপিঠ থেকে মানবিক বিভাগে সাফল্যের সাথে এসএসসি পাশ করেছে। পাশ করার পরপরই উচ্চ মাধ্যমিকে ভর্তি নিয়ে দেখা দেয় শংসয়। কারণ একটিই গরীবের ঘরে তার জন্ম। এরপরও পিতা পত্রিকা পরিবেশক শফি ইচ্ছা ছিল ছেলে ইমনকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলবে। কিন্তু পিতার হঠাৎ অসুস্থ্যতায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে অন্ধকার। পড়ালেখা তো তুরের কথা কি ভাবে চলবে সংসার সেই চিন্তায় ইমনের দিন যায় রাত আসে। সম্প্রতি কথা হয় আরিফুজ্জামান ইমনের সাথে, ইমন বলেন দারিদ্রতার সাথে লড়াই করে তার বেড়ে উঠা। বাবা শফিকুল ইসলাম শফি পত্রিকা পরিবেশক (হকার)। রোদ বৃষ্টি ঝড়ে তাকে কেউ কোন দিন আটকাতে পারেনি, কাক ডাকা ভোরে তিনি বাড়ি থেকে বের হয় আর সন্ধ্যা পার হলে বাড়িতে ফেরেন। সারা দিন বাসা বাড়ি অফিস, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পত্রিকা বিলি করে যা রোজগার করতেন তাতে চলতো আমাদের সংসার। পিতা ব্রেনস্টোকে আক্রান্ত হয়ে এখন শয্যশয়ী। চার সদস্যের পরিবার চালাতেন তিনি। কে দেখবে আমাদের, কে দাড়াবে পাশে, কিভাবেই পিতাকে চিকিৎসা করাবো এসব কথা বলতে বলতে সে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। সংসার আর পিতার কথা বলতে যেয়ে সে ভুলেই যাই তার পড়ালেখার কথা বলতে। আরিফুজ্জামন ইমনের ইচ্ছা সুযোগ পেলে সে সু শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চাই। বাবা মা জীবনে অনেক কষ্ট করেছে শেষ জীবনে আমার দ্বারা কিছুটা হলেও আরাম করবে কিন্তু সব ইচ্ছায় যেন শেষ হতে বসেছে। বর্তমানে সে বই খাতা ফেলে রেখে মা, ছোট বোন আর অসুস্থ্য পিতার মুখে দু’বেলা দু’মুঠো ভাত তুলে দিতে অন্যের জমিতে জোনে যাচ্ছে। সেখানে যা রোজগার হচ্ছে তার একটি অংশ সংসারে আর বাকি অংশ বাবার চিকিৎসায় ব্যয় করছেন। ইমন বলেন সম্প্রতি চৌগাছা প্রেসকব ও রিপোর্টার্স কাবের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কিছু টাকা দিয়ে গেছেন। সেই টাকায় বাবার ওষুধ কেনা হচ্ছে। কি ভাবে সামনের দিন গুলো পার করবো আর কিভাবেই পড়ালেখা চালিয়ে যাব তা ভেবে পাইনা। স্থানীয়রা জানান, ইমন মেধাবী ছেলে, সে যদি সামান্য সুযোগ সুবিধা পাই তাহলে পড়ালেখা চালিয়ে নিতে পারবে। এই মুহুর্তে দরকার সমাজের বৃত্তবানদের অসহায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো। যোগাযোগ ০১৭৬২-৫৩৬৪৫৬।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here