স্টাফ রিপোর্টার : আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং পৌরসভার প্লান আইন তোয়াক্কা না করে অন্যের জমিতে পাকা প্রাচীর করার অভিযোগ উঠেছে। পাকা প্রাচীন নির্মাণে বাধা দিলে যশোর শহরের পালবাড়ী গাজীরঘাট আয়শা পল্লীর ১৩ নম্বর প্লটের বাসিন্দা হাফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল আলিম, আব্দুল হাকিম এবং হাফিজুর রহমান, আব্দুল খালেকের ছেলে মতিয়ার রহমান তাদেরকে খুন জখম ও জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আয়শা পল্লীর ১৭ নম্বর প্লটের মালিক সোলায়মান মিয়ার ছেলে আবু জাকারিয়া মো. জাহিদ ইকবাল ওরফে নয়ন কোতয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, যশোর পুরাতন কসবা মৌজার এস এ খতিয়ান ৪৪৯২, এস এ দাগ নম্বর ৯২৪ মোট ২৭.৭৭ শতক জমির মধ্যে চারটি প্লট রয়েছে। এর মধ্যে ১৭ নম্বর প্লটের মালিক সোলায়মান মিয়ার ছেলে আবু জাকারিয়া মো. জাহিদ ইকবাল ওরফে নয়নের উত্তর পাশের্^ ১৩ নম্বর প্লটের মালিকরা জোর পূর্বক ভাবে ০.৬৩ শতক জমিতে পৌরসভার আইন প্লান পাস না করে পাকা বসত ঘর তৈরি করেছে। এ ঘটনায় নয়নের পিতা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। যার ম্বর ১৩৭১/০৯। ২০০৮ থেকে ২০০৯সাল পর্যন্ত আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বার বার বিরোধের সৃষ্টি করে এবং সীমানা প্রাচীন নির্মাণ করে। এরপর গত ১৭ জুলাই সকাল দুর্বৃত্ত্বরা ইট বালি এনে সীমানা প্রাচীর করার পায়তারা শুরু করে। ১৯ জুলাই সকালে দুর্বৃত্ত্বরা তাদের জমির মধ্যে পাকা প্রাচীর নির্মাণের চেষ্টা করলে নয়নের বড় ভাবী বিপ্লবের স্ত্রী রেহেনা বেগম তাদেরকে প্রাচীন করার নির্মাণে বাধা দেয়। এরপর দুর্বৃত্ত্ব হাফিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল আলিম, আব্দুল হাকিম এবং হাফিজুর রহমান, আব্দুল খালেকের ছেলে মতিয়ার রহমানসহ অজ্ঞাত পরিচয়ে সন্ত্রাসীরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি রড, অস্ত্রশস্ত্রসহ তাদের বসত ঘরে ঢুকে খুন জখম করার হুমকি দিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়।
যশোর কোতয়ালি থানার এসআই মাইনুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয়পক্ষকে মিমাংসা করার জন্য বলেছেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।