স্টাফ রিপোর্টার: যশোর শহরের খালধার রোডের একটি ফাট বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার বেলা ১২ টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে যে কোন সময় তৃতীয় তলার ওই ফাটে চোর ঢুকে ঘরের আলমারির তালা ভেঙ্গে সোনার গহনা ভর্তি বাক্সটি নিয়ে যায়। তবে এসময় ওই ফাটের প্রবেশদ্বারের সিসি ক্যামেরাটি বন্ধ থাকায় চুরির ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় ফাটের বাসিন্দা শাহরিয়াজ বিশ^াস সোহাগ কোতয়ালী মডেল থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করেছেন । মামলায় অজ্ঞাত নামা ব্যক্তিদের আসামী করা হয়েছে।
শাহরিয়াজ বিশ^াস সোহাগ বলেন, তিনি যশোর শহরের খালধার রোডে আব্দুর রহমান কিনার ৯ তলা ফাটবাড়ির ৩য় তলার ফাটে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। গতকাল বেলা ১২টার দিকে সোহাগের স্ত্রী লাকি জরুরী প্রয়োজনে ফাটের বাইরে যান। কিন্তু অসাবধানতাবশত: তিনি ফাটে প্রবেশের প্রধান দরজাটি খুলে যান। সে সময় একটি ঘরে তার মেয়ে ও অপর ঘরে ছেলে ঘুমাচ্ছিল। জরুরী কাজ সেরে লাকি ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যেই ফাটে ফিরে আসেন। কিন্তু তিনি দেখতে পান তার ঘরের ডাইনিং রুমে মাইক্রো ওভেনের ওপর থাকা চাবির তোড়া নিয়ে চোরেরা তার বেড রুমের কাঠের আলমারির ড্রয়ারটি খুলে ফেলে। চোরেরা তার ভেতর থেকে তিনটি গহনার বাক্স বের করে সমস্ত গহনা একটি হ্যান্ড ব্যাগে করে পাশে থাকা হাজার দুয়েক টাকাসহ ওই গহনা নিয়ে পালিয়ে গেছে। লাকি জানান, তার আলমারির ওই ড্রয়ারে আরো কিছু মুল্যবান জিনিষপত্র , পাশেই ২টি মোবাইল ফোন ছিল। ওয়ার ড্রপের ওপর আরো একটি মোবাইল ফোন ছিল। কিন্তু চোরেরা অন্য কোন কিছু স্পর্শ করেনি। এদিকে ঘটনার পর পরই সোহাগ বাড়ি ফিরে প্লাটের প্রধান ফটকের সামনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন। কিন্তু আশ্চর্য্যরে বিষয় ওই সিসি ক্যামরায় সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই প্রায় দুই ঘন্টার কোন ফুটেজ রেকর্ড নেই। তার আগে ও পরের সময়ের সব ফুটেজের রেকর্ড থাকলেও চুরির ঘটনার সময় কেন ফুটেজ সিসি ক্যামেরায় রেকর্ড হলো না সে প্রশ্নের কোন উত্তর মিলছে না কারোর কাছেই। এই বিষয়ে বাড়ির মালিক আব্দুর রহমান কিনা বলেন ঘটনাটি রহস্যজনক বলেই মনে হচ্ছে। তবে এই বিষয়ে থানায় মামলা হলে পুলিশ প্রকৃত ঘটনাটি তদন্ত করে বের করতে পারবে। তাহলেই বোঝা যাবে প্রকৃত চোর কারা । এদিকে এই ঘটনার পর ওই ফাটের লিফটের কাজে নিয়োজিত ২ শ্রমিককে পুলিশ জিঙ্গাসবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে বলে সোহাগ জানান।