সাতক্ষীরার তালায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারপিট ও বাড়িঘর ভাংচুরের প্রতিকার দাবি করে সংবাদ সম্মেলন

0
238

সাতক্ষীরা ব্যুরো : সাতক্ষীরার তালায় জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি ঘর ভাংচুর ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন তালা উপজেলার ফলেয়া গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আনছার আলীর ছেলে মোঃ আনারুল ইসলাম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তালা উপজেলার ফলেয়া মৌজার এস এ ৮৫ নম্বর খতিয়ানের দাগ নম্বর ১১৩, জাল ১৫৬ দাগের দশমিক ১০ একর সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের মৃত রেজাউল বিশ^াসের ছেলে রুবেল বিশ^াসের সাথে। একপর্যায়ে উক্ত রুবেল বিশ^াস আমার পিতার .১০ একর সম্পত্তির ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে ইসলামকাটি সাবরেজিস্ট্রি অফিসের সংশি¬ষ্টদের সাথে যোগাসাজসে চাঁদকাটি গ্রামের আমজাদ আলীর ছেলে এলাকার সন্ত্রাসী প্রকৃতির ব্যক্তি আব্দুর রহিমের কাছে বিক্রি করে। বিবাদমান জমি ক্রয়ের পরপরই তারা উক্ত সম্পত্তির দখল নেওয়ার পায়তারা করলে আমি বাদী হয়ে সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৪৫ধারা জারি করেন।
আনারুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, আদালতের ১৪৫ ধারা উপেক্ষা করে আব্দুর রহিম গাজী তার ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য হামিদুল গাজী, আছাদুল মোড়ল, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের মাহফুজ সরদার ও রবিউল খাঁসহ ১০/১৫ জন গত ১৫ জানুয়ারি লোহার রড, শাবল, কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বসতবাড়িতে ঢুকে ভাংচুর ও লুটপাট করে। এসময় আমার স্ত্রীর পরনের কাপড় টানা হেচড়া করে শ¬ীলতাহানি ঘটনায় এবং স্বর্ণের চেইনসহ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা আমার স্ত্রী, মাতাসহ আমাদের পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। এঘটনায় আমার মাতা রাফিজা খাতুন বাদী হয়ে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো বলেন, উক্ত মামলায় ৪ নং আসামীকে আটক করলেও পরের দিন আদালত থেকে সকল আসামী জামিন গ্রহণ করেন। জামিন গ্রহণ করে বাড়ি ফিরেই আব্দুর রহিমের নেতৃত্বে আবারো বাড়িতে হামলা চালিয়ে আমাদের মারপিট করে। এতে আমার মাতা রাফিজা বেগম মারাত্মক জখম হয়। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বর্তমানেও উলে¬খিত সন্ত্রাসী আব্দুর রহিমসহ তার সহযোগিরা আমাদের খুন জখমসহ মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকি দিচ্ছে।
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে তিনি সন্ত্রাসীদের জামিন বাতিল এবং পুনরায় হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here