ধান কাটার জন্য বসে থাকা রাজমিস্ত্রী যানবাহন ফুল শ্রমিক ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা প্রস্তুুত রয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : যশোরে বোরো মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবারের বোরো ধানের আবাদ ঘরে তুলতে পারলে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। চলতি বোরো মৌসুমে বোরো ধান সরকার সারাদেশ থেকে ক্রয় করবে ৮ লাখ মেট্রিক টন। যশোর থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান সরবরাহ করার প্রস্তুুতি রয়েছে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড.মোঃ আক্তারুজ্জামান।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাগেছে,সারাদেশে চলতি বছরে ৪৩ লক্ষাধিক হেক্টর জমিতে এ বছর বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে যশোর জেলায় ১লাখ ৫৪ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হলেও টার্গেট ধরা হয়েছিল ১লাখ ৬৩ হাজার অর্থাৎ (৯৬ শতাংশ ) হেক্টর জমিতে। বোরো ধানের আবাদ শেষ মূহুর্তে ধান কাটার জন্য ইতিমধ্যে যশোরে নতুন ২৪টি মেশিন আনা হয়েছে। ইতিপূর্বে যশোর জেলায় ধান কাটার ৩৮টি মেশিনের মধ্যে রক্ষনাবেক্ষনের অভাবে কয়েকটি অকেজো হয়ে পড়ে থাকলেও বোরো মৌসুমে যশোরের কেশবপুর উপজেলা থেকে সম্প্রতি ৩টি মেশিন লাগিয়ে ধান কাটার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ধান কাটার প্রস্তুতির ব্যাপারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোঃ আক্তারুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান,বোরো ধান কাটার জন্য জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে যশোরের বিভিন্ন স্কুলের ৯ম ও ১০ম শ্রেনীর ৫ হাজার শিক্ষার্থীরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ধান কাটার প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। তাছাড়া,করোনা-১৯ কারণে বেকার হয়ে যাওয়া দিন মুজুর যেমন রাজমিস্ত্রী,পরিবহন শ্রমিক ও যশোরে ঝিকরগাছা গদখালীতে অবস্থিত প্রায় ৬/৭ হাজার ফুল শ্রমিক দিয়েও বোরো মৌসুমের বোরো ধান কাটার প্রস্তুুতি রয়েছে। উপ-পরিচালক ড.মোঃ আক্তারুজ্জামান আরো জানান, যশোরে এ বছর ১লাখ ৫৪ হাজার ৬শ’ ১৫ হেক্টর জমির বোরো ধান কাটতে শ্রমিক সংকট মোকাবেলায় উত্তবঙ্গ এলাকা থেকে যেমন,ফরিদপুর,রাজবাড়ী ও দক্ষিণ অঞ্চলের সাতক্ষীরা জেলা থেকে ধান কাটার শ্রমিক আনার ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোঃ শফিউল আরিফ তাকে সহযোগীতার কথা জানিয়েছেন। করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের অধিকাংশ অঞ্চল লক ডাউন থাকার কারণে যশোরে বোরো ধান কাটতে উত্তরবঙ্গ থেকে শ্রমিক আসতে না পারায় কিছু সমস্যা সৃষ্টি হলেও এই সমস্যা যাতে না থাকে তার জন্য যে অঞ্চল থেকে ধান কাটার শ্রমিক আসে সেই জেলার জেলা প্রশাসকদের সাথে আলাপ আলোচনা করে শ্রমিক আনার কথা প্রস্তুুতির কথা জেলা প্রশাসক তাকে জানিয়েছেন। তিনি আরো জানান, সরকার এ বছর ৮লাখ মেট্রিক টন বোরো ধান কিনবে। যশোর জেলায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় । সরকার যাতে এ জেলা থেকে ৭লাখ মেট্রিক টন ধান কিনতে পারে এমন প্রস্তুুতি তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ইতিমধ্যে যশোরের বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীরা গরীব কৃষকদের জমির ধান স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে ঘরে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বোরো মৌসুমে কৃষকগন স্বপ্ন দেখছে ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া নিয়ে।