মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের বর্তমান করোনা ভাইরাস, আম্ফান ও কাল বৈশাখী ঝড়ে ঝিকরগাছা অঞ্চলে ব্যাপক তি হয়েছে। সৃষ্ট ঝড়, দমকা হাওয়া ও অতি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক তি হওয়া সহ স্থানীয় ফার্ম কর্তৃপক্ষের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার ৬নং ঝিকরগাছা ইউনিয়ন পরিষদের অনুকূলে শ্রীরামপুর গ্রামের তাফিম বীফ ফ্যাটেনিং এন্ড ডেইরী ফার্ম লিমিটেড। এটি ০৯ বিঘা জমির উপর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনা খানম, চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, পরিচালক আলমগীর বাশার ও আনিছুর রহমান, ইনভেষ্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে তৈরী করা হয় এই প্রজেটটি।
সারাবিশ্ব যখন মহামারি করোনা ভাইরাসের কবলে ক্ষতির সাগরে ভাসছে ঠিক সেই মুহুত্বের মধ্যে ফার্ম থেকে প্রতিনিয়ত প্রায় ১৫০ লিটার দুধ বিক্রয় করার হত কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে সেই দুধ বিক্রয় করা সম্ভব হয়নি। এছাড়াও সম্প্রতি ২০ মে বুধবার দিবাগত রাতে দেশে আঘাত এনেছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। এর প্রভাবে তিগ্রস্ত হয়েছে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। আম্ফানের ঝড়ের ঘা শুকাতে না শুকাতেই ‘মরার ওপর খাঁড়ার ঘা’ এর মতো অবস্থা হয়ে আবারও ২৭ মে কাল বৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে তাফিম বীফ ফ্যাটেনিং এন্ড ডেইরী ফার্ম লিমিটেড প্রায় ৩০ (ত্রিশ) লক্ষ টাকার ক্ষতির সম্মুখে পড়েছে কর্তৃপক্ষ। এই ফার্মে ১০০টি গরু রাখার স্থান থাকলেও ফার্মে প্রকৃতপক্ষে গরু ছিলো ৫০টি। করোনা ভাইরাস ক্রমাগতই দু’টি ঝড়ের কবলে পড়ে ১৬টি গরু আহত এবং ৫টি গরু নিহত হয়েছে। আহত গরু গুলো স্থানীয় কসায়ের নিকট সামন্য মূল্যে গরু গুলো বিক্রয় করতে হয়েছে। বর্তমানে তাফিম বীফ ফ্যাটেনিং এন্ড ডেইরী ফার্ম লিমিটেডে আহত সহ ২৯টি গরু রয়েছে। এ ব্যাপারে ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনা খানম জানান, করো ভাইরাস ও ক্রমাগত দু’টি ঝড়ের ফলে আমাদের এই ফার্ম অবস্থা খুবই করুন। ভাইরাসের কারণে ফার্ম হতে উৎপাদিত দুধ সব নষ্ট হয়ে গেছে এবং যে চালার নিচে গরু থাকে সেটার তো কোন অস্তিত্বই নাই। চালার সব এ্যাঙ্গেল গুলো গরুর ঘাঢ়ে পড়ে। ঝড়ের পর দিন সকালে সব কেটে সরিয়ে তারপর গরু গুলো বের করতে হয়েছে।’ য়তির ব্যাপারে তিনি বলেন, ফার্মে সর্বমোট ৫০টি গরু ছিল। ঝড়ের কবলে পড়ে ১৬টি গরু আহত এবং ৫টি গরু নিহত হয়েছে। তাছাড়া সবগুলোই মোটামুটি ভালো আছে। আবার নতুন করে সব ঠিক করতে গেলে আমাদের গড়ে প্রায় ২৮-৩০ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।