রাহাত আলী, স্টাফ রিপোর্টার, মণিরামপুর : “কৃষিই সমৃদ্ধি,সমৃদ্ধির জন্য ধান” শ্লোগানকে সামনে নিয়ে বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট (ইজজও) একের পর এক নতুন জাতের ধান উদ্ভাবন করে যাচ্ছে। জমি বাড়ছে না, বাড়ছে মানুষ। বাড়ছে খাদ্যের চাহিদা। আর সেই চাহিদা পূরনের জন্য বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট নিরলস পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও গবেষনা করে অবহাওয়া-জলবায়ূ উপযোগী মৌসুম অনুযায়ী উচ্চ ফলনশীল নানা জাতের ধান উদ্ভাবন করছে, অন্যদিকে তা আবাদের জন্য মতবিনিময় ও প্রশিক্ষন দিয়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষিদের কাছে পৌছিয়ে দেওয়ার কাজ করছে মণিরামপুরে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে-এসব কথা বলছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনস্টিটিউট, সাতক্ষীরা আঞ্চলিক অফিসের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইব্রাহিম। সোমবার দুপুরে উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের মাঠে আউশ মৌসুমের উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান-৮৩এর ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হীরক কুমার সরকার। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.এস.এম মফিজুল ইসলাম, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো.আমানত উল্লাহ, উপ-সহকারি কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান, চাষি হাবিবুর রহমান,আহাদ আলী প্রমূখ।
চাষি আহাদ আলী বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে নানা জাতের ধান চাষ করেছি। উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও অনুপ্রেরনায় আউশ মৌসুমের জন্য ব্রি ধান-৮৩ নামের নতুন জাতের এ ধানটি আবাদ করি,অন্যান্য ধানের তুলনায় কম সময়ে (ধান আবাদের ৯০ দিন পর) ও কম খরচে অধিক ফলন হয়েছে। এক বিঘা জমিতে প্রায় ৪০ মনেরও বেশি ধান ফলেছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. ইব্রাহিম আরো বলেন, আউশ মৌসুমের জন্য উচ্চ ফলনশীল ব্রি ধান-৮৩ জাতটির ফলন অধিক, তাছাড়া কম সময়ে,কম খরচে আবাদ করা যায় বলে চাষিরা এ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। সভাপতির বক্তব্যে কৃষিবিদ হীরক সরকার বলেন, ব্রি ধান-৮৩ এর গাছগলো অন্যান্য ধানে গাছের তুলনায় শক্ত,লালচে বাদামী বর্নের ধান অত্যন্ত পুষ্টিগুন সমৃদ্ধ হওয়ায় চাষিরা এ ধান চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। চলতি আউশ মৌসুমে উপজেলায় প্রায় ৪হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে আউশ ধানের চাষ হয়েছে।