জসিম উদ্দিন, শার্শা থেকে ॥ করোনা মহামারী থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে ও সচেতনতা বৃদ্ধিতে হ্যান্ড স্প্রে সহ সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখা ও মাক্স ব্যবহার করার জন্য ব্যানার লাগিয়ে বিভিন্ন আঙ্গিকে এক অটো ভ্যান তৈরি করে সবাইকে অবাক করেছেন মরু নামের এক সৌখিন ভ্যান চালক ।
তিনি বলছেন সরকারী নির্দেশনার পাশাপাশি নিজেদের সচেতনতা বৃদ্ধি অত্যান্ত জরুরি। তাহলে হয়তো করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব হবে।
সারাদেশে যখন করোনা মহামারী বেড়েই চলেছে। ঠিক তখনো থেমে নেই মানুষের জীবন যাত্রা। জীবিকার তাগিদে মানুষ ছুটে চলেছে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে। সে জন্য নির্ভর করতে হয় গনপরিবহনসহ ছোট ছোট যাত্রীবাহী গাড়ি।
কিন্তু গন পরিবহন গুলোতেও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরুত্ব। ব্যবহৃরিত হচ্ছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও মাক্স। তাই মহামারী থেকে যাত্রীদের বাঁচাতে নিজ উদ্যোগে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার চারাতলা গ্রামের মরু নামের এই সৌখিন ভ্যান চালক।
তিনি তার ভ্যানে যাত্রী উঠানোর সময় যাত্রীদের হাতে ও নিজের হাতে ব্যবহার করছে হ্যান্ড স্প্রে এবং যাত্রী নেমে গেলে পুরা ভ্যানে জীবাণু নাশক ঔষধ স্প্রে করছেন। যাত্রীরা বলছে এই রোডে একটি মাত্র গাড়ি চোখে পড়লো যাতে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার জন্য মাঝখানে পার্টিশন দেওয়া হয়েছে এবং হ্যান্ড স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই গাড়িটিতে উঠে নিজেকে অনেক নিরাপদ মনে হচ্ছে । জনসমাগম এড়িয়ে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখতে মুখে মাক্স ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সারা দেশে জনসচেতনতামূলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রশাসন। সে লক্ষ্যে ভ্যান চালিয়ে নিজের সংসার চালানোর পাশাপাশি মানুষকে সচেতন করতে এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছেন এই চালক।
মরু মিয়া বলেন, আমরা নিজেরাই একটু সচেতন হলেই বাঁচবে সমাজ বাঁচবে দেশ। দশের সার্বিক উন্নয়ন ও মহামারী করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সুনাগরিক হিসেবে আপনার আমার সবার দায়িত্ব। তাহলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশে হিসেবে স্বীকৃতি পাবে ।