স্টাফ রিপোর্টার : যশোরের শার্শায় ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক চাতাল মালিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় ওই শিশু ও তার পরিবারের সদস্যদের সাদাকাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনাটি গত ২৩ ডিসেম্বর ঘটে। তবে তা প্রকাশ পেয়েছে আজ সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে।
অভিযুক্ত চাতাল মালিক হাফিজুর সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার জিওলিতলা গ্রামের ইদ্রিস আলী মোড়লের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, চাতাল মালিক হাফিজুর শার্শা উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গাতিপাড়ায় পাশাপাশি দুটি চাতাল ভাড়া নিয়ে ব্যবসা করেন। ওই চাতালে খুলনার কয়রা উপজেলার ওই শিশুর বাবা ও মা শ্রমিকের কাজ করেন। গত ২৩ ডিসেম্বর রাত ৮টার দিকে শিশুটির মা চাতালের মিলে কাজ শেষে ঘরে ফিরে দেখেন তার মেয়েকে চাতাল মালিক হাফিজুর প্যান্ট পরাচ্ছেন এবং মেয়ে কাঁন্নাকাটি করছে। সন্দেহ হওয়ায় মেয়েকে পরীক্ষা করে ধর্ষণে চেষ্টার বিষয়টি আঁচ করেন। এসময় হাফিজুর মেয়েটির মাকে ভয়ভীতি দেখায় এবং ঢ়টনা ধামাচাপা দিতে বলে। এরপরও মেয়েটির মা চাতালের অন্য শ্রমিকদের নিয়ে থানায় যেতে চাইলে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের কারণে যেতে পারেনি। পরবর্তীতে ওই সন্ত্রাসীরা মেয়েটির মা-বাবাকে সাদা কাগজে আর কাজ করবে না মর্মে স্বাক্ষর নিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
খবর পেয়ে সংবাদকর্মীরা চাতালে গেলে স্থানীয় ইউপি মেম্বর আয়নাল বলেন, ‘সব সাংবাদিকদের সাথে আমার পরিচয় আছে। সকালে থানা থেকে দুই পুলিশ কর্মকর্তাও এসেছিল। আমি থাকতে পুলিশ-সাংবাদিকরা হাফিজুরের কিছু করতে পারবে না। এরম ঘটনা আমি কত মীমাংশা করেছি।
চাতাল মালিক হাফিজুরের কাছে শিশু ধর্ষণের কথা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং তিনি বলেন, যশোরে কর্মরত এসপি মর্যাদার কর্মকর্তা আমার বোন হয়। আপনারা চেনেন কি না ?
শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, আমি মৌখিকভাবে ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করার পর বলতে পারবো।